চলতি মরশুমে আবহাওয়ার তারতম্য় অনেক বেশী হচ্ছে। কখনও দিনের বেলায় গায়ে গরম জামাকাপড় রাখা দায়। তো কখনও আবার হাড়কাঁপানো কনকনে হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা।এমন ঠান্ডা-গরম আবহাওয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যখন তখন শরীর খারাপ হওয়া। হাঁচি,কাশি,সর্দি তো লেগেই রয়েছে। সঙ্গে হতে পারে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ। এই ভাইরাস একবার শরীরে ঢুকলে হেঁচে-কেশে একেবারে চোখের জলে নাকের জলে অবস্থা হতে বাধ্য। আট থেকে আশি এই ভাইরাসের হাত থেকে কারও ছাড় নেই। অতএব সাবধানতা অবলম্বন করাই নিজেকে সুস্থ রাখার অন্যতম রাস্তা।
আরও পড়ুন, পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা, মেনে চলুন এই কৌশলগুলি
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণে কী কী হতে পারে তা জেনে নেওয়া যাক। যাঁদের এমনিতেই ঠান্ডা লাগার ধাত ক্ষেত্রে এই ভাইরাস অত্যন্ত বিপজ্জনক। বাড়তে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হলে প্রভাব পড়তে পারে ফুসফুসেও। শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন ইনফেকশন। জ্বর ভাব, মাথায় যন্ত্রণা, খিদে না পাওয়া, এগুলোই মূলত লক্ষণ।তবে এগুলি উপায়ে এড়িয়ে চলার অনেক উপায় আছে। সেগুলি এবার জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন, শান্ত সুন্দর রম্ভায় জলের টানে, পাখির টানে
শীতকালে কয়েকটা জিনিস একটু খেয়ালে রেখে চললেই আপনি ভাল থাকবেন। বিছানার চাদর, বালিশের ওয়ার এবং পরনের পোশাক প্রতিদিন বদলাবেন। এক জামাকাপড় একদিনের বেশি না পরাই ভাল। সকালে প্রথমবার মুখ ধোয়ার সময় গরম জল ব্যবহার করতে পারলে ভাল। ঘুম থেকে উঠে বিছানা ছাড়ার আগে অবশ্যই গায়ে গরম পোশাক জড়িয়ে নিন। বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে দেহের তাপমাত্রার খাপ খাওয়াতে এটা সাহায্য করবে। মোজা পরার অভ্যাস থাকা ভাল। এবং ঘরের মধ্যেও চটি পরে থাকুন। শীতকালে এমনিতেই জল কম খাওয়া হয়, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রভাব কমতে সাত থেকে দশদিন লাগে । শরীর বেশি খারাপ হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ধুলো-বালি থেকে যত সম্ভব দূরে থাকুন। রাস্তায় বেরোলে প্রয়োজনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। একেবারেই ঠান্ডা লাগাবেন না। কান,নাক,গলা ভাল ভাবে ঢেকে রাখুন যাতে বাইরের কনকনে হাওয়া না লাগে। একই রুমাল বারবার ব্যবহার করবেন না।