বাচ্চারা কখনোই মা-বাবার ডির্ভোস মেনে নিতে পারে না। তবে, বাচ্চার মেনে নিতে সমস্যা হবে বলে তার কাছ থেকে সত্য গোপন করবেন এমন নয়। জেনে নিন কীভাবে বাচ্চাকে ডিভোর্সের কথা বলবেন।
তিল তিল গড়ে ওঠা সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় একটা সই। বছরের পর বছর ধরে দেখা স্বপ্নগুলো এক নিমেষে বদলে যায়। যে মানুষ দুটো বহু বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সংসার বেঁধে ছিলেন, তারা সব ভুলে প্রচেষ্টায় লেগে ওঠেন কীভাবে আলাদা হবেন। আসলে পরিস্থিতি প্রতিটি মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আজ যে সম্পর্কটা জীবনে সব থেকে গুরুত্ব পায়, সেটা কাল গুরুত্বহীন হতেই পারে। বিষয়টা অদ্ভুত মনে হলেও, প্রতিদিন এটাই ঘটে চলেছে। আজকাল ডির্ভোসের (divorce) সংখ্যা বৃহৎ মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ আজ সব ভুলে মানিয়ে নিতে চায় না, বরং আলাদা হয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে চায়। বিবাহবিচ্ছেদ দুটো মানুষের মধ্যে হলেও এর খারাপ প্রভাব পড়ে বাকিদের ওপর। বিশেষ করে যাদের বাচ্চা আছে। বাচ্চারা (Children) কখনোই মা-বাবার ডির্ভোস মেনে নিতে পারে না। তবে, বাচ্চার মেনে নিতে সমস্যা হবে বলে তার কাছ থেকে সত্য গোপন করবেন এমন নয়। জেনে নিন কীভাবে বাচ্চাকে ডিভোর্সের কথা বলবেন।
অনেকেই মনে করেন সঠিক সময় হলে বাচ্চাকে সব বলবেন। মনে রাখবেন, সঠিক সময় বলে কিছু হয় না। সত্য গোপন করার এটা একটা অজুহাত মাত্র। জেনে রাখবেন, সংসারে অশান্তি হলে তা যতই লুকোন, বাচ্চা অবশ্যই টের পাবে। এতে তার মনে আরও খারাপ প্রভাব পড়বে। তাই বেশি দেরি না করে সত্য জানান। বুঝিয়ে বলুন আপনারা ডির্ভোসের সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছেন। মা-বাবা (Parents) দুজনে এক সঙ্গে বসে বাচ্চাকে বুঝিয়ে বলুন। তার মনের ভয় দূর করুন। আপনাদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সত্যি জানান। আপনাদের ডিভোর্সে (divorce) তার জীবনে যাতে খারাপ প্রভাব না পড়ে সেটা দেখুন।
ডিভোর্সের কথা বলার পর বাচ্চার থেকে খারাপ প্রতিক্রিয়া পেতেই পারেন। সে যাই বলুক, আপনাকে ধৈর্য রাখতেই হবে। সে বাজে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে বলে বকা-ঝকা করবেন না। ডিভোর্স কথায় আপনার সন্তান কী প্রতিক্রিয়া দেবে তা আপনি জেনেন না। তবে, ধরে রাখুন সে খারাপ আচরণ করবে। তাই বুদ্ধি করে ধৈর্য ধরে তাকে বোঝান। তার মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিবাহ বিচ্ছেদ যতই দুঃখের হোক, তা আপনাকে যতই কষ্ট দিক এই নিয়ে একে অন্যকে দোষ (Blame) দেবেন না। বাচ্চার সামনে একে অন্যকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুন। এতে তার ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে। মনে রাখবেন, দোষ যারই হোক না কেন, সিদ্ধান্ত কিন্তু দুজনের। বাচ্চার (Kids) মনে দুজনের জন্য যেন সমান সম্মান থাকে, সে বিষয় নজড় দিন। তাকে আপনাদের সমস্যা প্রসঙ্গে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই।