চলছে বিয়ের প্রস্তুতি, শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

  • বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন
  • এই বন্ধনে মানুষ পরস্পর পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে
  • বিয়ের মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ও সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে
  • দুটি মানুষের এই বন্ধন জন্ম জন্মান্তরের

deblina dey | Published : Nov 18, 2019 9:23 AM IST

বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন যাতে দুটি মানুষ পরস্পর পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে। বাংলার আগামী মাস অগ্রহায়ণ মাস। অগ্রহায়ণ বা অঘ্রান বাংলা সনের অষ্টম এবং শকাব্দের নবম মাস। প্রাচীন বাংলা ভাষায় এই মাসটিকে আঘন নামে চিহ্নিত করা হত। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি রীতি যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ও সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। উচ্চবর্ণীয় হিন্দু সমাজের বিবাহে প্রধানত দুইটি আচারগত বিভাগ লক্ষিত হয়। যথা, বৈদিক ও লৌকিক। লৌকিক আচারগুলি "স্ত্রী আচার" নামে পরিচিত। 

আরও পড়ুন- মোবাইলের নেশায় আসক্তি, অ্যাপেই মিলবে সমাধান

বিয়ে একটি অত্যন্ত পবিত্র বন্ধন। মনে করা হয় দুটি মানুষের এই বন্ধন জন্ম জন্মান্তরের। বিয়ে মানে গোটা একটা পরিবারের সঙ্গে আপনার নতুন সম্পর্ক তৈরি। তাই নতুন সম্পর্কগুলো তৈরি হওয়ার আগে মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে নিন। নিজের বাবা-মা বদলে সম্পূর্ণ অপিরিচিত দুটি মানুষকে বাবা বা মা বলে ডাক শুরু করাটা ওতটাও সহজ নয়। এর জন্য নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করে নিন। সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিন পরিবারের সদস্যদের খুঁটিনাটি। জেনে নিনি তাদের পছন্দ ও অপছন্দের তালিকাগুলি।

আরও পড়ুন- ক্যানসার থেকে হৃদরোগ, সবেতেই কার্যকরী পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই আলু

নতুন ভাবে নতুন একটি পরিবারে সম্পর্ক গড়ে তোলার আগে মাথায় রাখুন, সকলের সঙ্গে ভালো রাখতে হবে সম্পর্ক। তবে, কোনও ভাবেই নিজেকে অসম্মান না করে। নতুন মানুষগুলোকে ভালোবাসবেন তবে নিজেরর সম্মান বজায় রেখে। একসঙ্গে সকলকে খুশি করা সম্ভব নয়, তবে ভালো ব্যবহার বজায় রাখতে হবে। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে প্রথমে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তারাও আপনাকে গুরুত্ব দেবেন। প্রত্যেকটি পরিবারের ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম ও মূল্যবোধ থাকে, তাই নিজের নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে আগে তঁদের নিয়মে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে আপনি অন্যের মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিলে তবেই নিজে গুরুত্ব পাবেন। নতুন পরিবারে আন্তরিক ব্যবহার বজায় রাখুন। নিজের বাবা-মায়ের পাশাপাশি শ্বশুর-শাশুড়িকেও গুরুত্ব দিন। 

Share this article
click me!