ডেঙ্গু রোধে পেঁপে পাতার রসের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এছাড়াও বিভিন্ন রোগ রয়েছে যার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পেঁপে পাতার রসের আশ্রয় নিতে হয়। প্রচুর পরিমাণে হজমকারী এনজাইম প্যাপাইন বিদ্যমান। এছাড়াও এই পাতায় রয়েছে অ্যালকালয়েড, গ্লুকোসাইড। অর্শ, মূত্রনালীর ক্ষতে, দাদ ও সোরিয়াসিস-এ, কোষ্ঠকাঠিণ্যে এবং কৃমিতে দারুন কাজ দেয় পেঁপে পাতা। পাকা পেঁপে অর্শরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে হিতকর। পেঁপে-তে প্রচুর পেপেন এনজাইম আছে যা মানুষের পাকস্থলীতে আমিষ হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্ট-ম্যালেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা নেয়। পেঁপে এমনিতেই বিভিন্ন রোগের মহৌষোধি হিসেবে কাজে লাগে। ফলের মত একই রকম গুণে সমৃদ্ধ পেঁপে পাতার রসও।
আরও পড়ুন- ছিপছিপে তন্বী চেহারা পেতে ডায়েটে রাখুন এই বাদামগুলি
জানলে অবাক হবেন ডেঙ্গু ছাড়াও আরও বিভিন্ন সমস্যায় দারুন কাজ দেয় পেঁপে পাতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ক্ষেত্রে অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারবেন পেঁপে পাতা।
পেঁপে পাতায় রয়েছে অ্যাচেটোজেনিন নামের এক ধরনের উপাদান যা ক্যানসারের কোষকে নষ্ট করতে সক্ষম। তাই যাঁদের বংশে ক্যানসার রোগী রয়েছেন, তাঁদের নিয়মিত পেঁপে পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- মধুর উপকার তো জানেন, রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করুন নিয়ম মেনে
রক্তের প্লেটলেটের পরিমাণ কমে গেলে চিকিৎসকরা পেঁপে পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই কারণেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে ওষুধের মত ভূমিকা নেয় পেঁপে পাতার রস।
কেমো থেরাপির পরে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। ক্যানসারের সঙ্গে মোকাবিলায় এই চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপরে কুপ্রভাব ফেলে। তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে পেঁপে পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনারি হার্ট ডিজিজের সমস্যা থাকলে পেঁপে পাতার রস খেতে পারেন। হার্টের বিভিন্ন রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতেও সক্ষম এই পাতা। পেঁপে পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, সি ও পটাশিয়াম।
পেঁপে পাতায় প্রচুর পরিমাণে প্যাপেইন, প্রোটিজ এনজাইম থাকে। এটি গ্লুটেনযুক্ত খাবার হজম করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও এই রস দারুণ উপযোগী।
কোষ্ঠকাঠিন্যের পাশাপাশি ত্বকের সমস্যার জন্যও পেঁপে পাতার রস কার্যকরী। ব্রণ বা ফুসকুড়ি হলে পেঁপে পাতা বেটে লাগিয়ে নিন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।