অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচে এই প্রাণীরা, নতুন খোঁজ বিজ্ঞানীদের

Published : Feb 26, 2020, 04:14 PM ISTUpdated : Feb 26, 2020, 04:16 PM IST
অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচে এই প্রাণীরা, নতুন খোঁজ বিজ্ঞানীদের

সংক্ষিপ্ত

এ বিজ্ঞাণের এক অনবদ্য আবিষ্কার আবার প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি এই প্রানীটি দেখতে অনেকটা জেলিফিশের-এর আকারে এদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না

এ বিজ্ঞাণের এক অনবদ্য আবিষ্কার। আবার প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি। সম্প্রতি ইস্রায়েলের তেল-আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল এমন এক প্রানী আবিষ্কার করেছে যা আলোরণ সৃষ্টি করেছে সারা বিশ্বে। এই প্রানীটি দেখতে অনেকটা জেলিফিশের-এর আকারে। এক ধরনের পরজীবী। এর বৈজ্ঞানিক নাম হেননিগুয়া সালমিনিকোলা। 

আরও পড়ুন- এয়ারটেল এর নতুন আন্তর্জাতিক রোমিং পরিষেবা, রয়েছে একগুচ্ছ নতুন নতুন সুবিধা

বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের ফলে জানা গিয়েছে, এই প্রানী মাল্টিসেলুলার জীব যা মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোম নেই। এই কারণেই এদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না।মানুষ-সহ বিশ্বের প্রতিটি প্রানীর শরীরে প্রচুর পরিমাণে মাইটোকন্ড্রিয়া পাওয়া যায় যা শ্বাস প্রশ্বাসের প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটিই প্রথম এমন এক জীব যাদের শরীরে মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোম নেই।

আরও পড়ুন- স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নতুন নিয়ম, পকেটে টান পড়তে চলেছে গ্রাহকদের

এই গবেষণার প্রধান ডায়না ইয়াহলোমি মতে নতুন আবিষ্কার হওয়া এই পরজীবী মানুষের এবং অন্যান্য জীবের পক্ষে মোটেও ক্ষতিকর নয়। তবে গবেষক দল এখনও এটা জেনে উঠতে পারেন নি কীভাবে এই প্রানীর বিকাশ হয়েছে। বা এর জন্ম কীভাবে। এই পরজীবীটি সলমন মাছে পরজীবী হিসাবে পাওয়া গিয়েছে। মাছ থেকে খাদ্য অর্জন করে এই পরজীবী বেঁচে থাকে তবে মাছের কোনও ক্ষতি করে না। যতক্ষণ মাছ বেঁচে থাকে ততক্ষণ বেঁচে থাকে।

আরও পড়ুন- থাইরয়েড থেকে অনিদ্রা, কার্যকরী এই দাওয়াই বশে রাখবে সব সমস্যা

এই পরজীবী নিয়ে গবেষণার সময় বিজ্ঞানীরা এটিকে ফ্লুরোসেন্ট মাইক্রোস্কোপ দিয়ে এটি পরীক্ষা করেছেন। এই সময়ে এদের মধ্যে সবুজ নিউক্লিয়াস দেখা গিয়েছে তবে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ দেখা হয়নি। ২০১০ সালেও একই রকম ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ইতালির পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির গবেষক রবার্তো ড্যানভোরো একই জাতীয় জীব আবিষ্কার করেছিলেন। যখন একটি মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা হয়, তখন মাইটোকন্ড্রিয়া পরিষ্কারভাবে দেখা যায় নি, তবে গবেষণার সময় দেখা গেছে যে তিনি গভীর সমুদ্রে বছরের পর বছর বাস করতে পারেন। এদের জীবন শক্তির উত্স হাইড্রোজেন সালফাইড। তবে সদ্য পাওয়া এই পরজীবীর হাইড্রোজেন সালফাইডেরও প্রয়োজন হয় না।
 

PREV
click me!

Recommended Stories

বাড়িতে সবচেয়ে বেশি জীবাণু এখানেই পাওয়া যায়
বাড়ির বারান্দা সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন এই কয়টি গাছের মধ্যে একটি, রইল তালিকা