বিশ্বজুড়ে যখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা, সেই সময় এক গবেষণার রিপোর্ট বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ১০০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞের মতে, হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্রের জলস্তর। এই সূত্রপাত দেখা দিয়েছে পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুর উত্তর প্রান্তে। সেখানকার ‘এসপ্যারেঞ্জা বেসে’-এর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে তা ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলেছে।
আরও পড়ুন- লকডাউন তোলার একমাস কাটতে না কাটতেই বিপত্তি, ফের করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ উহানে
বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রের জলস্তর যে গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে এক প্রবল জলোচ্ছাসের আশঙ্কা রয়েছে। আর এমনটা যদি হয়, তবে পৃথিবী এই প্রবল জলোচ্ছাসের ধাক্কা সইতে পারবে কি না, সেই বিষয়েও আশঙ্কা রয়েছে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি আন্টার্কটিকার ইতিহাসে রেকর্ড। এর আগে এমন তাপমাত্রা সইতে হয়নি আন্টার্কটিকাকে। ফারেনহাইট স্কেলে তাপমাত্রা ৬৪.৯৪ ডিগ্রি। শুধু এই নয় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন জলের স্তর এইভাবে বাড়তে থাকলে ২১০০ সালে এক মিটার এবং ২৩০০ সালের মধ্যে তা ৫ মিটার অবধি বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন- করোনা সংক্রান্ত ১২ গুজব, বিশ্বাস করলেই ঠকতে হবে আপনাকে
গবেষকদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভয়ের জায়গায় রয়েছে সমুদ্র তীরবর্তী জনপদ ৷ এমন অবস্থায় বহু মানুষ নিজেদের বাসস্থান, চাকরি সব কিছু হারাতে পারেন। এই বিষয়ে সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটি-র বিজ্ঞানীদের এই বিষয়ে ভয়াবহ এক পরিসংখ্যান সামনে এনেছেন। তাঁদের দাবি, এই জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ কারণ হল গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন। উষ্ণায়নের ফলে ইতিমধ্যেই গ্রিনল্যান্ড ও আন্টার্কটিকার বরফের চাঁই দ্রুত হারে গলে যাচ্ছে ৷ এর সঙ্গেই বেড়ে যাচ্ছে সমুদ্রের জলস্তর ৷ প্রবল এই জলোচ্ছাসের ফলে- নিউইয়র্ক, সাংহাই, মুম্বাইয়ের মত শহরগুলিতে আঘাত হানার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। যত দ্রুত সম্ভব বিশ্বের উষ্ণায়ন ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।