কীভাবে করবেন মিল্ক ফিশের চাষ, জেনে নিন দুধ সাদা রঙের এই মাছের চাষের পদ্ধতি

বর্তমানে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় চাষ হয়ে থাকে ফিলিপিন্সের এই জাতীয় মাছের। দক্ষিণ ইলিশ নামে খ্যাত মিল্ক ফিশ (Milk Fish)। দামও কম হয় এই মাছের। পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তায হয় মিল্ক ফিশ। কাঁথি, দিঘা, খেঁজুরি, নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর-সহ বিভিন্ন একালাকায় মিল্ক ফিশ চাষ হয়ে থাকে।

Sayanita Chakraborty | Published : Feb 23, 2022 10:50 AM IST / Updated: Feb 23 2022, 04:22 PM IST

আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে জনপ্রিয় মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম মিল্ক ফিশ (Milk Fish)। বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা রয়েছে। ফিলিপিন্সের জাতীয় মাছ এটি। বাঙালির জনপ্রিয় ইলিশকেও (llish) টেক্কা দিতে পারে মিল্ক ফিশ মাছের স্বাদ। বর্তমানে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় চাষ হয়ে থাকে ফিলিপিন্সের এই জাতীয় মাছের। 

দক্ষিণ ইলিশ নামে খ্যাত মিল্ক ফিশ (Milk Fish)। দামও কম হয় এই মাছের। পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তায হয় মিল্ক ফিশ। কাঁথি, দিঘা, খেঁজুরি, নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর-সহ বিভিন্ন একালাকায় মিল্ক ফিশ চাষ হয়ে থাক। মিল্ক ফিশ মূলত নুন জলে ডিম পাড়ে। জেনে নিন এই মাছের চাষের পদ্ধতি।

০.৮ থেকে ১ মিটার জলের গভীরতা থাকলে এবং ১০ থেকে ২০ পিপিটি-এর সর্বোত্তম লবণাক্ততা, ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই মাছ চাষ করা যেতে পারে। এছাড়া, সারা বছরে, ৪.০ থেকে ৫.০ পিপিএমের জল পিএইচ মান এবং জলে অক্সিজেন ৭.৫ থেকে ৮.৫ ডিগ্রি থাকতে হবে। তবেই মাছ চাষ ভালো হবে। 

মিল্ক ফিশ পুকুরে চাষ করা যায় না। কারণ এবার পুকুর ও সীমাবদ্ধ জলে প্রজনন করতে চায় না। এই মাছ চাষের জন্য প্রয়োজন শান্ত উপকূলীয় জলের। যেখানে তাপমাত্রা থাকবে ২৩ থেকে ২৫ ডিগ্রি। আর জলে লবণাক্ততা থাকবে ১০ থেকে ৩২ পিপিটির মধ্যে। 

মাছ চাষ করতে হলে প্রথমে ফিশপন্ড সাইটে জলের উপযুক্ত সরবরাহ করুন। এবার আধা নিবিড় (কম ঘনত্ব, নূন্যতম জল বিনিময়, উচ্চ ভলিউম ট্যাঙ্ক, মিশ্র খাদ্য খাওযানো) বা নিবিড় (উচ্চ স্টকিং ঘনত্ব, উচ্চ ভলিউম ট্যাঙ্ক, দৈনিক খাওয়ানো এবং দল বিনিময়) সিস্টেম ব্যবহার করে চাষ করা হয়ে থাকে। ডিম (Egg) ছাড়ার পর লার্ভা আদর্শভাবে ৫০ লিটারে হ্যাচারি ট্যাঙ্কে রাখা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে রোটিফার খাওয়ানো হয় এবং পরবর্তীতে মোট চিংড়ি দেওয়া হয় ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ। এভাবেই চাষ করা হয় মিল্ক ফিশের। 

এদের গায়ের রঙ মূলত দুধ সাদা হয়। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছের স্বাদ অনেকটা ইলিশের (llish) মতো। এই মাছ ইলিশের মতোই বেশি কাঁটাযুক্ত। এমনকী এর গন্ধ ও রূপ অবিকল ইলিশ মাছের মতো হয়ে থাকে। সঙ্গে এই মাছের খ্যাতিও ইলিশের থেকে কোনও অংশে কম নয়। 

আরও পড়ুন: এই ১০টি অনুভূতি বলে দেবে আপনি তার প্রেমে পড়েছেন, জেনে নিন কী কী

আরও পড়ুন: ফের খবরে আম্বানি পরিবারের বিয়ে, সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আনমোল ও কৃশা, ভাইরাল ছবি

আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য, বাজারে এল নয়া স্টাইলের উভচর বাইক, জলে-স্থলে চলবে অবলীলায়
 

Share this article
click me!