ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিজের স্মার্টফোন চেক করেন, কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানলে চমকে যাবেন

  • ৮০ শতাংশ ভারতীয় ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্মার্টফোন চেক করেন
  • হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় 
  • বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হয় স্মার্টফোন
  • স্মার্টফোন ছাড়া জীবন ভাবতে পারেন না ৫৬ শতাংশ ভারতীয়

Asianet News Bangla | Published : Dec 24, 2019 10:17 AM IST / Updated: Dec 24 2019, 06:01 PM IST

স্মার্টফোন আসার পর থেকেই বদলে গেছে আমাদের অধিকাংশের জীবনযাত্রার ধরণ। আমাদের সম্পর্কগুলির উপর কী প্রভাব ফেলছে এই অত্যাধুনিক স্মার্টফোনগুলি, তা নিয়ে সম্প্রতি সমীক্ষা চালিয়েছিল সাইবার মিডিয়া রিসার্চ নামে একটি সংস্থা। আর তাতে যা উঠে আসছে তা কিন্তু কপালে চিন্তার ভাজ ফেলার জন্য যথেষ্ট। 

রিপোর্ট বলছে ভারতীয়দের মধ্যে সোশ্যাল সাইটের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক। এরপরে রয়েছে ইনস্ট্রাগ্রাম, ট্যুইটারস লিঙ্কডিন, স্ন্যাপচ্যাট এবং টিকটক। 

 

 

এন্টাটেনমেন্টের জন্যই অধিকাংশ ভারতীয় নিজের স্মার্টফোনকে ব্যবহার করেন। এমনটাই উঠে আসছে এই রিপোর্টে। এরপরেই অবশ্য রয়েছে ফোন তথ্যঅনুসন্ধানের বিষয়টিও। দেখা যাচ্ছে  ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ৮৩ শতাংশ মহিলা এবং ৮৫ শতাংশ পুরুষ নিজের স্মার্টফোনকে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্যই সবচেয়ে বেশি কাজে লাগান।

আরও পড়ুন : ষোড়শী ছাত্রীর বুকে অ্যাসিড, অভিযোগের তির গেল প্রিন্সিপালের দিকে

আর স্মার্টফোন নির্ভরতার  ক্ষেত্রে  রিপোর্টে উঠে আসা ফলাফলও বেশ চমকপ্রদ। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ৮০ শতাংশ ভারতীয়ই শেষ কাজ হিসাবে নিজের স্মার্টফোনটিকে চেক করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম কাজ হিসাবে স্মার্টফোন চেক করার সংখ্যা ৭৪ শতাংশ।

সমীক্ষা বলছে ৫৬ শতাংশ ভারতীয়ই মনে করেন স্মার্টফোন ছাড়া তাঁদের জীবন বর্তমান যুগে অচল। আর ৭৮ শতাংশ ভারতীয় মনে করেন স্মার্টফোন তাঁদের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি ঘটিয়েছে। 

আরও পড়ুন : কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে সরকারি ভাবে সিএএ-এনআরসি নয়, রাহুলের প্রশংসা করে আবদার প্রশান্তের

তবে অতিরিক্ত স্মার্টফোন নির্ভরতার ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে। তাঁদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর স্মার্টফোন প্রভাব ফেলছে তা মেনে নিয়েছেন ৭৩ শতাংশ মানুষ।

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাথব্যাথা, নিয়মিত ঘুম না হওয়া, দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া খুব সাধারণ সমস্যা। দেশের ৮টি শহরের ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের উপর এই সমীক্ষা চালান হয়েছিল। প্রায় ২০০০ জন অংশ নিয়েছিলেন সমীক্ষায়। রাজধানী দিল্লি ছাড়াও বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, মুম্বই, পুনে, আহমেদাবাদ এবং কলকাতায় এই সমীক্ষা চালান হয়েছিল। 

Share this article
click me!