কোনদিন মাথা ব্যাথা, আবার কোনদিন পায়ে ব্যথা। ভয় না পেয়ে কিছু টোটকার সাহায্য নিলে ছোটখাটো শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন সহজেই।
ছোটখাটো প্রয়োজনে ডাক্তারের (Doctor) কাছে যাওয়া সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। আবার মহামারীর (Corona Situation) ভয়েতে আমরা সবসময় জর্জরিত হয়ে থাকি। এদিকে, শীত (Winter) আসন্ন। এই সময় শরীরের নানা ব্যথা (body aches) যেন চাগাড় দিয়ে ওঠে। বিশেষত একটু বয়স্করা বড় কষ্ট পান শীতকালে। শরীরের নানা অংশে ব্যথায় কাবু থাকেন তাঁরা।
তবে রোগ ব্যাধি ছাড়া জীবন অসম্ভব। শরীরের যেকোনো জায়গায় ব্যথা হোক না কেন, তা আমাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোনদিন মাথা ব্যাথা, আবার কোনদিন পায়ে ব্যথা। ভয় না পেয়ে কিছু টোটকার সাহায্য নিলে ছোটখাটো শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন সহজেই। ঘরে বসেই এই টোটকা প্রয়োগ করতে পারেন আপনি।
গলায় অস্বস্তি: গলায় অস্বস্তি বোধ করলে হলে আঙ্গুল দিয়ে কানের পেছনে হালকা করে ঘষুন। এর ফলে কানের পেছনে নার্ভ সক্রিয় হয়ে যায়। গলায় আরাম পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এটি প্রায় কম বেশী সকলেরই হয়। এমন হলে বুড়ো আঙুলে ফুঁ দিন। এমন করলে আঙ্গুলের আশেপাশে স্বাভাবিক বায়ু চলাচল ব্যাহত হয়। এতে ভেগাস নার্ভ সক্রিয় হয়ে ওঠে, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
নাক দিয়ে রক্ত: রক্তচাপ কম বেশি হলে অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। এমতাবস্থায় হাতের কাছে ডাক্তার অথবা ওষুধ না পাওয়া গেলে মারির চাপ প্রয়োগ করতে পারেন। মাড়ির চাপ প্রয়োগ করলে নাকি শিরায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয় ফলে রক্তচাপ কমে যায়।
ওষুধ: ওষুধ খেতে যদি সমস্যা হয় তাহলে মাথা নিচু করে ওষুধ খান। এইভাবে ওষুধ খেলে গলায় ওষুধ আটকে যাবে না।
মুড: মুড ভালো করতে এই উপায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন। দাঁতের পাশে একটি পেন্সিল ধরে রাখুন কিছুক্ষণ। কিভাবে পেন্সিল মুখের মধ্যে ধরে থাকলে স্মাইল পেশী সক্রিয় হয়ে ওঠে।
মাথা যন্ত্রণা: প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা যদি কষ্ট পান তাহলে ঠান্ডা জলে কিছুক্ষণ হাত ডুবিয়ে রেখে দিন। হাতে প্রচুর নার্ভ থাকে যা সরাসরি মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত থাকে। এর ফলে মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
দাঁতের যন্ত্রণা: দাঁতে যন্ত্রণা হলে এক টুকরো বরফ দাতে ধরে রাখলে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
শ্বাসকষ্ট: অনেক সময় ডায়াফ্রামের পেশী সংকোচন এর ফলে শ্বাসকষ্ট হয়। এমতাবস্থায় দুই হাত উপরে তুলে স্ট্রেচিং করুন। শ্বাসকষ্ট নিরাময় হয়ে যাবে।
Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও
Aryan Khan Case- মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে ফাঁসানো হয়েছে-বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে
Pakistan Airspace- আকাশপথ ব্যবহারে না, পাকিস্তানকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি ভারতের
হাতের জড়তা: অনেকক্ষণ একভাবে থাকলে কাঁধে জড়তা আসে। কাধের নার্ভের উপর চাপ পড়ার কারণে এটা হয়ে থাকে এমত অবস্থায় সোজা হয়ে বসে বা দাঁড়িয়ে ঘাড় কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করলে আরাম পাওয়া যায়।
ফোস্কা: পুড়ে যাওয়া ত্বক দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য পোড়া অংশের ওপর হালকা চাপ দিন মাঝেমাঝে। এতে ওই অংশে রক্ত চলাচল বাড়ে ফলে ফোসকা পড়ে না।