আপনি কি জানেন, দেখাদেখি হাই তোলায় মানুষের সঙ্গে শিম্পাঞ্জীরও মিল আছে

  • হাই তোলা দেখে অনেকেই আছেন, যারা হাই তুলেছেন
  • নিউরো সায়েন্টিস্টরা এই বিষয়ে বহু গবেষণা করছেন
  • তবে  রিসার্চ করলেও এখনও জানা অনেক বাকি রয়েছে 
  • দেখাদেখি  হাই তোলা, এটা শিম্পাঞ্জীদের মধ্যেও আছে
     

Ritam Talukder | Published : Dec 4, 2019 9:26 AM IST

আপনার সঙ্গে নিশ্চয়ই এরকম কখনও হয়েছে যে, অন্য় কারো হাই তোলা দেখে আপনিও হাই তুলেছেন। এটা প্রায়শই সব জায়গায়ই দেখা যায়, অনেকেই দেখাদেখি হাই তোলেন। আসলে এটা নিয়ে বহুদিন ধরেই গবেষনা চলছে। বিশিষ্টদের মতে, এটা এক ধরনের সোশাল বিহেভিয়ার। এর মূল কারণ আমাদের শরীরে মিরর নিউরোনের ভূমিকা। সামাজিক ভাবে দলবদ্ধ আচরণ করতে মানুষ ভালবাসে। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের অভ্য়াস দলগত ভাবে শিকারে যাওয়া থেকে শুরু করে ঘুমানোসহ নানা কিছু। তারই প্রতিফলন এই দেখাদেখি হাই তোলা। এই বিষয়ের ওপরে নিউরো সায়েন্টিস্টরা অনবরত গবেষণা করছেন।

আরও পড়ুন, এটিএম প্রতারণার থেকে বাঁচার দু'টি উপায়, পরামর্শ দিল কলকাতা পুলিশ

নিউরো সায়েন্স রিসার্চ করলেও এখনও জানার অনেক কিছু বাকি রয়েছে। হিউম্য়ান ব্য়বহার খুব কমপ্লেক্স সাবজেক্ট।  শিম্পাঞ্জির ওপর জুরিখে গবেষণা করা হয়েছিল। ওদের হাই তোলার ভিডিও দেখানো হয়েছিল। পাঁচ-ছয়জন বসে হাই তুলছে। এটা মিররিং বিয়েভিয়ার। ওরাও ওই ভিডিও দেখে হাই তুলেছে। এটা সোসাইটি থেকে আলাদা নয়। সমাজে থাকলে এটা হতেই হবে।

আরও পড়ুন, অবশেষে ঠান্ডা নামল শহরে , পারদ নামবে ১৭ এর নিচে

 বিশেষজ্ঞদের মতে, হাই তুলছে আর হাসছে, তাহলে দু ধরনের মিররিং হয়। একটা ফিজিক্য়াল আর একটা মেন্টাল। ইমোশন্য়াল রেসপন্স শুধু নয় ফিজিক্য়াল রেসপন্স। অভিনয় করে হাই তুললেও আপনি ভাবছেন ঘুমিয়ে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই দেখাদেখি হাইয়ের জন্য় দায়ী মিরর নিউরোন। যা রয়েছে মানুষের মধ্যে। শিম্পাঞ্জীদের মধ্যেও আছে। বায়োলজিক্যালি সিগনিফিকেন্ট। সব কিছুই যেন একটা কপি হয়ে যায়।

Share this article
click me!