'নিরাপদ আশ্রয়স্থল', ইমরান খানের মিথ্যার বেলুন ফাঁসিয়ে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

ফেঁসে গেল ইমরান খানের মিথ্যার বেলুন

পাকিস্তানকে এখনও জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় বলল মার্কিন বিদেশ দপ্তর

তাদের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জঙ্গি দমনে এখনও ইমরান খান কোনও বড় পদক্ষেপ নিতে পারেননি

এতে করে ভারত বড়  কূটনৈতিক সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে

 

ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএচিএফ-এর পর্যালোচনা সভায় বারবার নিজেদের সন্ত্রাসবাদ দমনে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ইমরান খান। বরং ভারতে সংখ্যালগুদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলে বলে একের পর এক আন্তর্জাতিক সবায় অভিযোগ করেন ইমরান খান। এবার তাঁর সেই মিথ্যার বেলুন ফেটে গেল। বুধবার মার্কিন বিদেশ দফতরের প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পাকিস্তান এখনও আঞ্চলিক স্বার্থে কাজ করা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ'সহ বিভিন্ন সংগঠনগুলিকে তাদের দেশ থেকে পরিচালনা করতে দেয় পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয় সরবরাহকারী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ইমরানের দেশ। আগামী অক্টোবর মাসেই এফএটিএফ-এর পর্যালোচনার মুখোমুখি হতে হবে পাকিস্তান-কে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই  মূল্যায়ন ওই সভায় ইসলামাবাদের অস্বস্তি বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।

Latest Videos

মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের অনুমোদিত সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে বিভিন্ন দেশ সম্প্রর্কে ২০১৯ সালের এই প্রতিবেদনে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে  পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলার পর জইশ-ই-মহম্মদ সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিল। কিন্তু, তারপরও ইমরান খান প্রশাসন পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধে এবং ভারত-কেন্দ্রিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ন্ত্রণে অতি সামান্য পদক্ষেপ নিয়েছে। শুধু ভারত কেন্দ্রিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধেই নয়, হক্কানি নেটওয়ার্ক-এর মতো আফগানিস্তান-কেন্দ্রিক জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও তারা এমন কোনও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে পারেনি যাতে জঙ্গিদের পরিচালন ক্ষমতা হ্রাস পায়।

এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে পাকিস্তান ২০১৫ সালেই অবিলম্বে তাদের দেশে কার্যকর থাকা সমস্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা এখনও অপূর্ণই রয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ এবং তার ১২ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে তারা অভিযোগপত্র পেশ করেছিল ঠিকই, কিন্তু জইশ প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহার কিংবা ২০০৮ মুম্বই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী লস্কর নেতা সাজিদ মীরের মতো অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী নেতাদের বিচারের জন্য কর্তৃপক্ষকে কাজে লাগানোর কোনও চেষ্টাই করেনি।

সন্ত্রাসবাদ দমনে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর প্রশাসনের এই ব্যর্থতা তথা অনিহার মার্কিন অভিযোগটি এল এমন এক সময়ে, যখন জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিহত সন্ত্রাসবাদীদের জন্য ইসলামাবাদ নির্লজ্জ সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানি বিদেশ মন্ত্রক ওই নিহত জঙ্গিদের 'নির্দোষ' বলেছিল। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের এই রিপোর্ট পরবর্তী ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কোনঠাসা করতে ভারতকে কূটনৈতিক সুবিধা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Delhi-তে মেগা জনসভা Amit Shah-র, কী বার্তা দেখুন সরাসরি
ফের কবিতার মাধ্যমে মমতাকে বেলাগাম আক্রমণ রুদ্রনীলের, দেখুন ভিডিও | Rudranil Ghosh Poem
‘Bangladesh India-কে বেশি চুলকোতে আসবেন না!’ Yunus সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি Suvendu Adhikari-র
Republic Day-তে চরম বিতর্ক! জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাঁধা RPF-এর, চাঞ্চল্য Nabadwip-এ
মারধর করে হিন্দুদের জমি দখলের চেষ্টা বিষ্ণুপুরে, গর্জে উঠলেন অগ্নিমিত্রা পাল | Hindu Attack