১৯৩৯, ১৯৯০-এর পর ২০২০। আরও একবার রঞ্জি ট্রফি জয়ের সুযোগ বাংলা ক্রিকেট দলের কাছে। আরও একবার ভারত সেরা হওয়ার হাতছানি। ইডেনে সেমিফাইনালে কর্ণাটককে ১৭৪ রানে হারানোর পর নতুন করে স্বপ্ন দেখছে কোচ অরুণ লালের বাংলা। সামনে আর একটি বাধা। ফাইনাল জিততে পারলেই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২০০৬-০৭-এর পর ১৩ বছর পর ফাইানালে উঠে সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদা, ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার, আকাশ দীপরা।
আরও পড়ুনঃকর্ণাটককে হারিয়ে রঞ্জি ফাইনালে বাংলা, তৃতীয়বার ভারত সেরা হওয়ার হাতছানি
২০২০ সালের ফাইানালের আগে ১৯৯০ সালের ট্রফি জয় থেকেই শিক্ষা নিতে চাইছে বাংলার নব প্রজন্ম। ৯০-তে শেষবার সম্বরন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারত সেরার শিরোপা ঘরে তুলছিল বাংলা দল। এবারের ফাইানালের আগে একবার ফিরে দেখা যাক ৯০-এর সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের স্মৃতি। ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৮ রান করে দিল্লি। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেন অধিনায়ক কীর্তি আজাদ। বাংলার হয়ে তিনটি করে উইকেট পান দত্তাত্রেয়ী মুখোপাধ্যায় ও রাজীব শেঠ। দুটি উইকেট পান শরদেন্দু মুখোপাধ্যায় ও একটি উইকেট পান উৎপল চট্টোপাধ্যায়। ২৭৮ রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় বাংলা দল। ওপেনার পঙ্কজ রায় ও ইন্দু রায়কে প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠান অতুল ওয়াসন ও মনোজ প্রভাকর। ক্রিজে এক দিক থেকে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে অরুণ লাল। দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর অরুণ লালের সঙ্গ দিতে নামেন রঞ্জি ফাইানালে অভিষেক হওয়া তরুণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২২ রানের ইনিংস খেলে প্রভাকরের বলে আউট হন সৌরভ। এরপর ১৯ রানে মনন্দির সিংয়ের বলে আউট হন অশোক মলহোত্রা। এরপর পঞ্চম ইউকেটে অরুণ লালকে যোগ্য সঙ্গত দেন আর ভেঙ্কট রাঘবন। ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন অরুণ লাল ও ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন আর ভেঙ্কট রাঘবন। ২১৬ রানে ৪ উইকেটে শেষ হয় নির্ধাতি সময়ের খেলা। প্রতি উইকেটে রানের গড়ের বিচারে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলা।
আরও পড়ুনঃচেন্নাইয়ে পৌঁছলেন ধোনি, তাকে দেখে উচ্ছসিত ভক্তরা
আরও পড়ুনঃঋদ্ধিমানের বদলে পন্থের চয়ন কি ভারতের হারের কারণ গুলোর মধ্যে একটি
১৯৯০-এর আগেও ১৯৩৯ সালে প্রথমবার রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলা। ফাইানালে সাউদার্ন পঞ্জাবকে ১৭৮ রানে হারায় কার্তিক বোস , আমির ইলাহি, বাসিল ম্যালকমরা। সামনে আরও একটি ফাইনাল। ২ বার ট্রফি ঘরে তুললেও, ১১ বার তীরে এসে তরী ডুবেছে বাংলা দলরে। সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রানার্সআপ হয়েই। ২০০৬-০৭ সালে শেষবার সুযোগ পেয়েও ফাইনালে হারের মুখ দেখতে হয়ছিল বাংলা ক্রিকেট দলকে। তাই এবার ফাইনালে ওঠার আনন্দ থাকলেও, শেষ হার্ডলের আগে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ বাংলার ক্রিকেটাররা। তাদের এখন একটাই লক্ষ্য তৃতীয় বার রঞ্জি জয় ও বাংলাকে ভারত সেরা করা।