ঘরোয়া ক্রিকেট কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মোহনবাগানের অন্যতম প্রতিপক্ষ ছিল কালীঘাট ক্লাব। কিন্তু এখন আর আগের মতো শক্তিশালী দল নেই কালীঘাট। বরং ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে ভবানীপুর।
২০১৬-১৭ মরসুমে যখন শেষবার পি সেন ট্রফি হয়েছিল, সেবার ফাইনালে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে কালীঘাটের কাছে হেরে রানার্স হয় মোহনবাগান। এবার অবশ্য সাফল্য পেল সবুজ-মেরুন। শনিবার ফাইনালে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ভবানীপুরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান। পেনাল্টি হিসেবে ১৩ রান পেয়ে যাওয়ায় সবুজ-মেরুনের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সহজ হয়ে যায়। জয়ের জন্য শেষ ওভারে মোহনবাগানের দরকার ছিল ১৩ রান। হাতে ছিল মাত্র ১ উইকেট। কিন্তু পেনাল্টি রান পেয়ে যাওয়ায় শেষ ওভারে ব্যাটিং করার দরকার হয়নি। পেনাল্টি রানেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় সবুজ-মেরুন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারার খেসারত দিতে হল ভবানীপুরকে।
শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে পি সেন ট্রফি ফাইনালে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫২ রান করে ভবানীপুর। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এটি বড় স্কোর। কিন্তু ব্যাটাররা যতটা ভালো পারফরম্যান্স দেখান, ভবানীপুরের বোলাররা ততটা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। ৪৯ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৪০ রান করে মোহনবাগান। শেষ ওভার হলে ম্যাচের ফল কী হত সেটা বলা কঠিন। কিন্তু ভবানীপুর নির্ধারিত ওভার শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের বেশি নেয়। তার ফলেই পেনাল্টি রান পেয়ে ম্যাচ জিতে নিল মোহনবাগান।
এদিন ভবানীপুরের হয়ে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং করেন অভিষেক রমন। তিনি করেন ৭৪ রান। বহু যুদ্ধের নায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার করেন ৭১ রান। ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন চিরাগ জানি। ঋষি ধাওয়ান ২৮ বলে ৪১ রান করেন। জেসল কারিয়া ১৬ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। মোহনবাগানের হয়ে সুনীল দালাল ৬০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে মোহনবাগানের হয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেন শাকির। তিনি ১৫৭ রান করেন। ৪৫ রান করেন ওপেনার ললিত যাদব। ভবানীপুরের হয়ে ৩ উইকেট নেন রাজকুমার পাল।
বাংলার প্রয়াত প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রবীর সেনের স্মৃতিতেই হয় পি সেন ট্রফি। অতীতে সচিন তেন্ডুলকর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে পি সেন ট্রফিতে খেলেছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনিও পি সেন ট্রফিতে খেলে গিয়েছেন। ২০১৬-১৭ মরসুমের পর করোনা অতিমারী-সহ নানা কারণে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবার সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ফের চালু করা হয় পি সেন ট্রফি। এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট ফের চালু হওয়ায় খুশি বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন-
আগস্টে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে জাতীয় দলে ফেরার চেষ্টা করছেন জসপ্রীত বুমরা
Ravindra Jadeja: ক্রিকেট থেকে বিরতি, ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছেন রবীন্দ্র জাদেজা
আইপিএল-এর পারফরম্যান্স কী করে টেস্ট দলের যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে? অখুশি শাস্ত্রী