শেষ ৫ ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়নি ইষ্টবেঙ্গল দলকে। তবে ৫ ম্যাচে জয়ের সংখ্যা মাত্র ২। ড্র তিনটি ম্যাচ। মঙ্গলবারও কোঝিকোড়ে গোকুলামের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করেছে মারিও রিভেরার দল। এই পরিস্থিতিতে শহরে পৌছলেন লাল-হলুদের কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি আকোস্টা। সান দিয়াগো থেকে নিউইর্য়ক হয়ে দিল্লি আসেন জনি। সেখান থেকে কলকাতায় পৌছান তিনি। এখন লাল-হলুদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার অপেক্ষায় জনি।
আরও পড়ুনঃনির্বাচন কমিটিতে বদল, এমএসকে প্রসাদের জায়গায় আসতে চলেছেন সুনীল জোশী
দলের রক্ষণ বিভাগের খারাপ পারফরমেন্সের জন্য মরসুমের শুরু থেকেই ভুগতে হচ্ছে ইষ্টবেঙ্গলকে। কলকাতা লিগ হাতছাড়া হওয়ার পর আইলিগেও টানা হারের মুখ দেখতে হয় লাল-হলুদকে। টানা হারের দায় নিয়ে কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন আলেজান্দ্রো মেনেন্দেজ। তার জায়গায় কোচ হিসেবে নিয়ে আসা হয় মারিও রিভেরাকে। দলের দায়িত্ব নিয়ে কিছুটা উন্নতি করলেও, দলকে এখনও পুরোপুরি জয়ের সরণিতে নিয়ে আসতে পারেননি ইষ্টবেঙ্গলের নয়া কোচ। যদিও টানা হার থেকে দলকে বের করে এনেছেন রিভেরা। নয়া কোচের আমলেও রক্ষণের বোঝাপড়ার অভাবেই বারবার ভুগতে হচ্ছে দলকে। সে কথা কার্যত স্বীকারও করেছেন মারিও। শেষ সাত ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই গোল হজম করতে হয়েছে ইষ্টবেঙ্গলকে। বর্তমানে ১৫ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে আই লিগের লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রিভেরার দল। ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে রিয়াল কাশ্মীর, গোকুলাম, চেন্নাই, আইজল এফসিরা। ফলে অবনমনের খাড়া থেকেও এখনও পুরোপুরি মুক্ত নয় ইষ্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন-এফ এ কাপের শেষ আটে চেলসি, লিভারপুলকে হারাল ২-০ গোলে
আরও পড়ুনঃপ্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসাবে নজির তামিমের, ছুঁলেন ৭ হাজার রানের মাইলস্টোন
এই পরিস্থিতিতে দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন জনি আকোস্টা। দেখার বিষয় এটাই মরসুমের মাঝপছে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে কতটা ইষ্টবেঙ্গল রক্ষণের দায়িত্ব নিতে পারেনি জনি। কারণ হাতে ম্যাচ সংখ্যা মাত্র ৫। অবনমন বাঁচাতে দলকে জয়ে ফেরানোই একমাত্র রাস্তা। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন কার জায়গায় সই করবেন আকোস্টা? ক্রোমা না মার্কোস? ক্রোমাকে ছেঁটে ফেলার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলেই খবর। ফলে জনি আকোস্টার উপর ফের ভরসা রাখছেন ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কোস্টারিকার বিশ্বকাপারকে ঘিরেই শতবর্ষে সম্মান বাঁচানোর আশায় বুক বাঁধছেন লাল-দলুদ সমর্থকরা।