করোনার জের,৬০০-৭০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি

  • করোনার জেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা
  • প্রায় ৬০০-৭০০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছে কোম্পানিগুলি
  • সংস্থার কর্মীদের আগামী দিনে চাকরি থাকবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা
  • কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা  জানেন না সংস্থার মালিকরা

Sudip Paul | Published : May 6, 2020 4:31 PM IST

করোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে স্তব্ধ গোটা দেশ। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন সব শিল্প। কোভিড ১৯ মহামারীর জেরে বন্ধ সমস্ত ধরনের স্পোর্টিং ইভেন্টও। যারফলে ক্ষতির সম্মুখীন ক্রীড়া সংস্থাগুলিও। শুধু ক্রীড়া সংস্থা নয়, বিশাল পরিমাণ ক্ষতি হতে চলেছে  ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। এমনকী আগামী দিনে কোম্পানিরগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান খোদ মালিক কর্তৃপক্ষ। নিজেরাই জানেন না কী করে সামাল দেবেন এই বিশাল পরিমাণ ক্ষতি। যার ফলে রাতের ঘুম উড়েছে সকলের। বলতে পারছে না, সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আগামী দিনে চাকরি আদপে থাকবে কি না। হিসাব কষে দেখা গিয়েছে লকডাউনের কারণে ৬০০-৭০০ কোটি টাকা ক্ষতির সামনে পড়তে হয়েছে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে।

আরও পড়ুনঃলডাউনে নস্টালজিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়,পুরোনো ছবি শেয়ার করে কী লিখলেন

এর মধ্যেও সাধারণ মাননুষের উদাসীনতার জেরে দেশ জুড়ে বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে তাতে মে মাসের পরও লকডাউন চলার আশঙ্কা করছেন ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। ক্রীড়া সংস্থাগুলির মালিক পক্ষের দাবি মার্চ, অপ্রিল, মে এই তিন মাস রমরমিয়ে চলত ব্যবসা। এই তিনটি মাসের ক্ষতি যদিও বা সামলে নেওয়া যায়, লকডাউন যদি আরও বাডে তাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মালিক পক্ষ। এই ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই, সঙ্গে যুক্ত থাকা শ্রমিকরাও মুখ থুবড়ে পড়বে। মিরাটের এসজি কোম্পানি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআইকে যাবতীয় বল সরবরাহ করে। বাৎসরিক ব্যবসার পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার। কোম্পানির বাৎসরিক আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ আসে মার্চ-মে মাসে। তবে এখন যাবতীয় কাজ বন্ধ। যাবতীয় ফ্যাক্টরিতে তালা পড়ে গিয়েছে। 

আরও পড়ুনঃঅনুশীলনে নামার আগে কোভিড ১৯ টেস্ট হল মেসি,গ্রিজম্যানদের

আরও পড়ুনঃএবার কী ইংল্যান্ড পারি দিতে চলেছে কেকেআর,তুঙ্গে জল্পনা

ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ইন্ডাস্ট্রি ভারতের দুটো জায়গায় মূলত রয়েছে। এক, জলন্ধর। দুই, মিরাট। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবতীয় স্পোর্টস গুডস এই দু’টো জায়গা থেকে রফতানি করা হয়। জলন্ধরে অবস্থিত ভারতীয় ফ্র‌্যাঞ্চাইজি অরবিন্দ আবেরল, ব্রিটিশ কোম্পানি নিকলস জানেনা কীভাবে তারা এই পরিস্থিতি সামাল দেবে। সাধারণত এই সময় যাবতীয় ক্রীড়া সরঞ্জাম রফতানি করা হয়। জাহাজে করে পাঠানো হয় ইউরোপে। সেখানে খেলাধুলো যেহেতু বন্ধ তাই পাঠানোর কোনও উপায় নেই। জাহাজও যাচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ায় জুলাই মাসের পরে মরশুম শুরু হয়। কেউ জানে না, কত টাকার ক্রীড়া সরঞ্জাম কেনার জন্য অর্ডার আসবে। সব মিলিয়ে এখন খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেই দিন কাটাচ্ছে খেলার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। সম্বল শুধুই একরাশ হতাশা।

Share this article
click me!