করোনা আবহেই বিশ্ব জুড়ে চলছে ফুটবল শুরুর তোরজোর। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বুন্দেশলিগা। ৮ জুন থেকে ফিরছে লা লিগা, ১৭ জুন থেকে ফিরছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ২০ জুন থেকে ফিরছে ইতালির সিরি এ লিগ। দক্ষিণ কোরিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে কে লিগ। এশিয়ার অন্যান্য দেশেও কোথাও শুরু হয়েছে ফুটবল, কোথাও আবার শুরুর পথে। কিন্তু আতঙ্কের মধ্যে গোটা বিশ্বে ধীরে ধীরে খেলাধুলো শুরু হলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রতি লিগের খেলাই হচ্ছে দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে। পরিস্থিতি সামলাতে কোনও কোনও স্টেডিয়ামের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ম্যাচের সময় বাজানো হচ্ছে রেকর্ড করে রাখা দর্শকদের চিৎকার। কোথাও আবার গ্যালারির চেয়ারে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে ম্যানিকুইন। কিন্তু তাতেও দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলার হতাশা দূর হচ্ছে না খেলোয়াড়দের। ফুটবলের সেই আমেজ উপভোগ করতে পারছেন না প্লেয়াররা। মাঠে দর্শকদের চিৎকার না থাকলে ফুটবলের সেই মুহূর্তগুলিই তৈরি হচ্ছে না। ইউনিয়ন বার্লিনের বিরুদ্ধে বুন্দেশলিগার ম্যাচের পরে বায়ার্ন মিউনিখের তারকা থোমাস মুলার বলেছিলেন,'স্টেডিয়ামের পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে যেন বৃদ্ধদের ফুটবলে অংশ নিচ্ছি আমরা।' শুধু মুলার নয়, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা বাধ্যতামূলক হলেও, তা অদ্ভুত বলে মনে হচ্ছে বার্সোলোনার সুপারস্টার লিওনেল মেসির। লা লিগা শুরুর আগেই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করে মেসি বুঝিয়ে দিয়েছেন দর্শকশূন্য মাঠে খেলার হতাশা।
আরও পড়ুনঃকরোনা আবহেই ১৭ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
আরও পড়ুনঃশুরু হচ্ছে ইপিএল,৩০ বছরের খরা কাটিয়ে স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় লিভারপুল
কিন্তু এবার আর চিন্তা নেই। মাঠে উপস্থিত না হতে পারলেও, দইয়ের স্বাদ ঘোলে মেটানোর ব্যবস্থা করল জাপানের একটি সংস্থা। এক অভিনব অ্যাপ তৈরি করল ওই সংস্থা। রিমোট চিয়ার নামে ওই অ্যাপের মাধ্যমে দর্শক ভর্তি স্টেডিয়ামের সেই চেনা আবহ খানিকটা ফেরাতে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করল ওই সংস্থাটি। এই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন টিভি বা মোবাইল অ্যাপে খেলা দেখার সময় আপনার মনের কথা সরাসরি পৌছে যেতে পারে স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্লেয়ারদের কাছে। ঠিক যেমনটা গ্যালারিতে বসে চিৎকার করার সময় হয়। কীভাবে এই অ্যাপ কাজ করবে তার কথাও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অংশে এবং দর্শকাসনে স্পিকার রাখা থাকবে। অ্যাপে একাধিক বোতাম রয়েছে। কোনওটা উন্মাদনা প্রকাশের জন্য। আবার কোনও বোতাম রয়েছে প্রিয় দলের জয় কামনা করে প্রার্থনা করার জন্য। আবার ক্ষোভ উগরে দেওয়ার জন্যও আলাদা বোতাম রয়েছে। ক্রীড়াপ্রেমীরা তাঁদের ইচ্ছে মতো বোতাম স্পর্শ করে নিজেদের মনোভাব জানাতে পারবেন। আর সেই আওয়াজ অ্যাপের মাধ্যে চলে যাবে স্টেডিয়ামে রাখা স্পিকারে। সেই স্পিকারের মাধ্যমো কোটি কোটি ভক্তদের আওয়াজ পৌছে যাবে ফুটবলাদের কাছে। যার ফলে যেমন মাঠে বসে খেলা দেখার কিছুটা অনুভূতি পাবে দর্শকরা, তেমনই দর্শকশূ্ন্য নয়, দর্শকপূর্ণ মাঠে ম্যাচ খেলার কিছুটা স্বাদ পাবেন ফুটবলাররা। রেকর্ডেড নয়, লাইভ সাইন্ড কানে যাবে প্লেয়ারদের। জাপানের সংস্থার অ্যাপটির খবর ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলেছে নেট ও ফুটবল দুনিয়ায়।
আরও পড়ুনঃঅবশেষে মিলল সরকারি অনুমতি,২০ জুন থেকে শুরু ইতালির সিরি এ লিগ