সকাল ৯টা থেকেই অনেকে লাইন দিয়েছিলেন। কিন্তু, ১২টা বেজে গেলেও তাঁরা টিকা পাননি। তাঁদের অভিযোগ, নিজেদের মতো লিস্ট তৈরি করে টিকা দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।
ফের করোনার টিকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু রাজ্যে। অভিযোগ, মোবাইল ফোনে মেসেজ আসা সত্ত্বেও মিলল না টিকার দ্বিতীয় ডোজ। আর তা নিয়ে সল্টলেকের দত্তবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- কোভিডে মৃত্যু বাড়ল রাজ্যে, আশঙ্কা বাড়িয়ে ফের সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা
গ্রাহকদের দাবি, অনলাইনে টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য তাঁরা আবেদন করেছিলেন। এরপর টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে তাঁদের ফোনে মেসেজও গিয়েছিল। এরপর আজ সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে তাঁদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে বলা হয়। সেই মতো সকাল ৯টা থেকেই অনেকে লাইন দিয়েছিলেন। কিন্তু, ১২টা বেজে গেলেও তাঁরা টিকা পাননি। তাঁদের অভিযোগ, নিজেদের মতো লিস্ট তৈরি করে টিকা দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। এই দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
শীঘ্রই দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণ সম্পন্ন করার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, সেখানেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় টিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে।
কয়েকদিন আগে কৃষ্ণনগরে করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বর্তমান পুরবোর্ডের অন্যতম প্রশাসক অসীম সাহার সুপারিশ থাকা বাসিন্দাদের টিকা দিয়ে বাকিদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হতেই তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল।
তার আগে হাওড়াতেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। অভিযোগ ছিল, দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়েও টিকা পাচ্ছেন না অনেকেই। আবার অনেকে টিকা নিলেও কোনও মেসেজ আসছে না। সার্টিফিকেটও পাওয়া যাচ্ছে না। টিকা নিতে এলে কোন দলের সমর্থক বা কর্মী তা নাকি জানতে চাওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হাওড়া ময়দানে টিকাকরণ কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। এরপর খোদ সল্টলেকে টিকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা।