অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। বর্তমানে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ শতাংশে।
শুক্রবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮০৫। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫১২ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৯ জন।
সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, কেরালা, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ। করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য এই রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৬৪। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯৩৮ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৯৩ জন।
শুক্রবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৬৪৫। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬৪ জন।
লালবাজারে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। কলকাতা পুলিশে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গোটা রাজ্যেই আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৪ জন পুলিশ কর্মী ও অফিসার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের প্রায় ৪ হাজারের বেশি কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। এছাড়া করোনার হাত থেকে রেহাই পাননি রেলের একাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।
রবিবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ২৮৭। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ২৮৬ জন।
দেশের ৭২১টি জেলাকে পিছনে ফেলে শুধু কলকাতায় পজিটিভিটি রেট পৌঁছে গিয়েছে ৫৫ শতাংশে। প্রতি দু'জনের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন একজন করে। আর তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে।
কোভিড সংক্রমণ এবার কলকাতা পুলিশ তথা রাজ্য পুলিশেও, আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরাও। যার জেরে ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ একাধিক থানার সামনে গার্ড রেল টেনে দেওয়া হয়েছে।