এই অমাবস্যা তিথি শুরু হলেই রাজবেশ সহকারে রাতে মায়ের পুজো করা হয়। কারণ এই তিথিতেই মা কালী রূপে আবির্ভাব হয়। পূর্বজন্মের সতীর যজ্ঞস্থলে আহুতির ফলে তিনি কালো বর্ণে আবির্ভাব হন।
পৌষ মাসের অমাবস্যাকে পূর্বপুরুষদের পূজা, স্নান এবং দান ইত্যাদির জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়েছে। এই দিনে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধ, তর্পণ ও দান করা হলে মোক্ষ লাভ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
পঞ্চং প্রধানত পাঁচটি অংশ নিয়ে গঠিত। এখানে দৈনিক পঞ্চাঙ্গে শুভ সময়, রাহুকাল, সূর্যোদয় সূর্যাস্তের সময়, তিথি, করণ, নক্ষত্র, সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থান, হিন্দু মাস এবং পক্ষ ইত্যাদি সম্পর্কে বিবরণ দেবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের শুভ সময় ও রাহুকাল।
এই দিনে সমস্ত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। পবিত্র নদীতে স্নান করে, তর্পণ, পিন্ডদান, শ্রাদ্ধ করার পরে, পূর্বপুরুষদেরকে সম্মানজনক বিদায় দেওয়া হয়। আসুন জেনে নিই মহালয়া অমাবস্যার তারিখ ও এই তিথির গুরুত্ব।
এই বিশেষ তিথির সঙ্গে তারাপীঠের এক গভীর যোগ রয়েছে। কারণ, এদিন তন্ত্র সাধনা, যোগ্য বা মনের কোনও ইচ্ছা পূরণ করার মক্ষম তিথি। আর তাই তারাপীঠে মা কালীর আরাধনা শুরু হয় সকাল থেকেই।
দর্শ অমাবস্যা ব্রত ২০২২ শ্রাধ অমাবস্যা নামেও পরিচিত। পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পেতে দান করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। ২৮ জুন ২০২২ তারিখে দর্শ অমাবস্যা পালিত হবে। এই দিনটি মঙ্গলবার। প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা দর্শ অমাবস্যা নামে পরিচিত।
সূর্যগ্রহণকে জ্যোতির্বিদ্যার পাশাপাশি ধর্ম এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে একটি প্রধান ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। অমাবস্যা তিথিতে হওয়া এই সূর্যগ্রণের প্রভাব পড়বে সব মানুষ এবং দেশ ও বিশ্বের উপর। ৩০ এপ্রিল সূর্যগ্রহণ মেষ রাশিতে ঘটছে। জেনে নিন কিভাবে এই সূর্যগ্রহণ সমস্ত রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে।
রাত পোহালেই মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানে শুরু মাতৃপক্ষের সূচনা। মহালয়ার তিথি হল অমবস্যা। এক নজরে জেনে নিন চলতি বছরের মহালয়ার নির্ঘন্ট।
মঙ্গলবার ভোর ৬.৩৫ মিনিটে তা ছেড়ে যাচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই কৌশিকী অমাবস্যার দিন হিসেবে মঙ্গলবারকেই চিহ্নিত করা রয়েছে। কারণ এদিন সূর্যোদয় পেয়েছে অমাবস্যা।