সংক্ষিপ্ত
- সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে বাবা ও ছেলের মৃত্যু
- ডেঙ্গুর আতঙ্কে ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার
- এলাকায় মশা নিধন অভিযানে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ দল
- একাধিক জায়গায় মিলল মশার লার্ভা
বাবার পর প্রাণ গেল ছেলেরও। ডেঙ্গুর প্রকোপে আঁধার নেমেছে গ্রামেরই একটি পরিবারে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার সত্যপুর দলপতিপুর এলাকায়। বুধবার সকালে গ্রামে ঘুরে একাধিক জায়গায় মশার লার্ভার খোঁজ পেয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ টিম। এলাকায় মশা নিধনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেনপশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
গত দেড় মাসে গ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরইমাঝে সপ্তাহ খানেক আগে ডেবরায় সত্যপুর দলপতিপুর এলাকায় বিশ্বেশ্বর দাস নামে একজন মারা যান। তিনিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। তেমনই দাবি গ্রামবাসীদের। স্বাস্থ্য দপ্তর অবশ্য বলছে, ডেঙ্গু নয়, মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। মৃতের ছেলে ভোলনাথ মালদহে একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। সেখানেই থাকেন। বাবার মৃত্যুর পর ডেবরায় গ্রামের বাড়িতেএসেছিলেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ডেবরায় আসার পর ২৮ নভেম্বর ধুম জ্বর আসে ভোলানাথের। শারীরিক অবস্থায় এতটাই অবনতি হয় যে, তাঁকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকেরা। লাভ হয়নি। বরং হাসপাতালে ভর্তির হওয়ার পর রাতে ভোলানাথের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। রাতেই ওই প্রাথমিক শিক্ষককে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার সকালে মারা যান ভোলানাথ দাস। আর তাতেই ডেঙ্গুর আতঙ্ক কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে ডেবরায় সত্যপুর দলপতি পুর এলাকায়।
আরও পড়ুন: পড়ে থাকল মায়ের দেহ, জমি মাপতে ব্যস্ত দুই ছেলে
জানা গিয়েছে, ভোলনাথের স্ত্রীও নাকি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর হাসপাতালে থেকে ছাড়িয়ে তাঁকে ডেবরায় নিয়ে এসেছেন পরিবারের লোকেরা। এদিকে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরও। বুধবার সত্যপুর দলপতিপুর গ্রামে হাজির হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ টিম। গ্রামের একাধিক জায়গায় মশার লার্ভার খোঁজ মেলে।