সুকান্ত মজুমদার বলেন এটাই এই রাজ্যের শিক্ষার হাল ও অবস্থা। দুর্নীতি যেখানে সাফল্যের চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। আর পড়াশোনা পিছিয়ে গিয়েছে।
৯ নভেম্বর নিয়োগের দাবিতে ফের একবার পথে নামেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। বেলা বাড়তেই কলকাতার ধর্মতলা, রবীন্দ্র সদন চত্বরে জমা হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। শুরু হয় চাক্কা জ্যাম।
অবশেষে চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের চাকরি প্রার্থীদের নম্বর প্রকাশ করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদ। পর্যদ সভাপতি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য জানিয়েছেন।
দু'দিন আগেই চাকরিপ্রাথীদের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের অমানবিকতার দৃশ্য দেখেছে গোটা রাজ্য। তবু যাবতীয় চোখ রাঙানির বিপরীতে নিজেদের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। ন্যায়বিচারের আশায় কাটল ৬৭ দিন।
পুলিশি অভিযান শুরু হয় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ। আন্দোলনকারিদের অবস্থান মঞ্চও ভেঙে দেয় পুলিশ। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের আটক করা হয়।
কেটে গিয়েছে গোটা রাত। চাকরির দাবিতে বিক্ষোভকারীদের ঘুমহীন রাত কাটল রাস্তায় শুয়ে। পুলিশ জানিয়েছে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যেখানে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে, তার সামনেই রয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল। ফলে রীতিমত সমস্যায় পড়েছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা।
নিয়োগের দাবিতে গত ১৫ অক্টোবর মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নীচে হাজির ২০১৮-র কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন SSC ধর্নামঞ্চের পাশেই জড়ো হন তাঁরা। পুলিশ এসে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেয়।
বুধবার ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পাশ ট্রেন্ড নট ইনক্লুডেড ক্যান্ডিডেটস একতা মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এবং তাঁদের যাবতীয় দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরবেন বলে জানা যাচ্ছে।