আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালির সমস্ত মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। আর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তদন্তেই একের পর এক শাহজাহানের কীর্তি ফাঁস হচ্ছে।
শুক্রবার নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি লিখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী , তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে- সিবিআই ও এনএসজির বোম স্কোয়াড -সহ অতিরিক্ত বাহিনী ডেকেছে।
সন্দেশখালিতে প্রচুর অস্ত্রের সন্ধান পেলে সিবিআই। যার মধ্য়ে রয়েছে বিদেশি অস্ত্রও। সিবিআই জানিয়েছে শাহজাহানের নথিও উদ্ধার হয়েছে।
বিচারপতি বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, সুপার নিউমারারি পদ বেআইনিভাবে গড়া হয়েছে। কী এই পদ? কোন সময়ে দুর্নীতি?
আদালতের এই রায়ের ওপর ভিত্তি করেই বিস্ফোরক দাবি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, বেআইনি নিয়োগ করতে অনেক অতিরিক্ত পদ তৈরি (সুপারনিউমেরিক পদ) করা হয়েছিল মন্ত্রিসভার বৈঠকেই।
তদন্তের স্বার্থে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে দিয়ে হামলার সম্মুখীন হয়ে হয় ইডি আধিকারিকদের। এরপর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন শাহজাহান। এরপর রাজ্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গত কয়েকমাসে একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তবে সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগ, এনআইএ তদন্ত বন্ধ হচ্ছে না।
ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন, সাকেত গোখলে এবং সাগরিকা ঘোষ-সহ ১০ জন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এদিন নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করেছে।
মহুয়া চিঠিতে লিখেছেন, সিবিআই বেআইনিভাবে তাঁর চারটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছিল। দুটি সরকারি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। তা সত্ত্বেও সেই কৃষ্ণনগর থেকেই তাঁকে এবারও প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।