জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ও দোমহনী জংশনের ওভারব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় লাইনচ্যুত গৌহাটিগামী আপ বিকানীর এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে! প্রস্তুত রেড ভলেন্টিয়ার।
রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছে গিছিলেন এদিন রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি তথা রেলের যাত্রী সুরক্ষা এবং স্বাচ্ছন্দ্য কমিটির সদস্য রথীন্দ্রনাথ বসু, শোকপ্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবারই ময়নাগুড়িতে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী। আগামীকালই পুরো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন তিনি। একথাও ইতিমধ্যে টুইট করে জানিয়েছেন শুভেন্দু।
উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ময়নাগুড়িতে (Mainaguri near Siliguri) বিকানের এক্সপ্রেস (Patna-Guwahati-bound Bikaner Express) লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় বাড়ছে মৃত ও আহতের সংখ্যা। দুর্ঘটনা নিয়ে পিএম মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে কথা বললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ (CM Mamata Banerjee)। রেলের তরফ থেকে ঘোষণা করা হল ক্ষতিপূরণও।
ইতিমধ্যেই কোচবিহার থেকে সেখানে পাঠানো হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ময়নাগুড়িতে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন ২০ জন পুলিশের একটি দল।
অন্যদিকে ময়নাগুড়ি ট্রেন দুর্ঘনায় চতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। এদিন লাইনচ্যুত হয়েছে পাটনা-গুয়াহাটি বিকান এক্সপ্রেস দূরপাল্লার এই ট্রেনটি ময়নাগুড়ির দোমোহিনীর কাছে উল্টেযায়। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। রেল কর্তৃপক্ষের অনুমান, সিগন্যালে কোনও সমস্যা ছিল না।
পাটনা থেকে গুয়াহাটিগামী দূরপাল্লারট ট্রেনটি বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের চার থেকে পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। প্রতিটি কম্পার্টমেন্টেরই যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন একটি কামরা রেল লাইন থেকে ছিটকে জলে পড়ে যায়। রেল সূত্রের খবর সব মিলিয়ে প্রায় ১২টি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭টি কামরা। ট্রেনে প্রায় ৭০০ জন যাত্রী ছিলেন।
রেল কর্তার কথায় কোভিডের কারণে ট্রেনে তেমন কোনও ভিড় ছিল না। প্রতিটা কর্পার্টমেন্ট যাত্রীসংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। সেই কারণে হতাহতের সংখ্যা কম বলেও মনে করছেন তিনি। তবে নাশকতার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন দূরপাল্লার ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে।
যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে নিকটবর্তী হাসপাতাল ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় বেড়েছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সদর সদর হাসপাতাল থেকে ৩০ টি অ্যাম্বুলেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না গেলেও আহত ও নিহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই হতাহতের উদ্ধার করার জন্য ইতিমধ্যেই ট্রেন পাঠানো হচ্ছে বলে খবর।