গ্রিন করিডরের আওতায় চলে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, গ্রিন করিডরের আওতায় থাকা ১৫ জন ভিআইপি-র তুলনায় আরও অনেক নেতা-মন্ত্রী যে এই সুবিধা নেবেন না- এমন গ্যারান্টি কলকাতা পুলিশ কিন্তু দিতে পারছে না।
মঙ্গলবার তাঁকে দেখা গেল কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিতে। মঙ্গলবার সন্ধে সাতটা নাগাদ কালীঘাট মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করেন তিনি। প্রায় মিনিট তেরো কালীঘাট মন্দিরের ভিতরে ছিলেন তিনি।
সব জল্পনার অবসান। মমতার বাড়ির কালীপুজোয় পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। চোখ ঢাকা ছিল কালো চশমাতে।
‘‘যেসমস্ত অমানবিক মানুষ অভিষেকের চোখের চিকিৎসা এবং অস্ত্রোপচার নিয়ে সমালোচনা করছিলেন, তাঁদের ওঁর চোখের অবস্থা দেখা উচিত,” টুইটারে লিখলেন কুণাল ঘোষ। তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন, আশাবাদী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
“আমার সামনে যদি কেউ পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিত, পুলিশকে মারত, আমি (নিজের কপালে আঙুল ঠেকিয়ে) তাদের মাথায় শ্যুট করতাম।’’ অভিষেকের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের সারবত্তা নেই, জানাল কলকাতা পুলিশ।
নবান্ন অভিযানকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুলি-মন্তব্যের রেশ যে অদূর ভবিষ্যতেও গড়াবে, তা বোঝা গিয়েছিল। তার মন্তব্যের পরেই রীতিমত জলঘোলা শুরু করে বিরোধীরা।। ব্যাঙ্কশাল আদালতে অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
নতুন তৃণমূল কংগ্রেস- এই শব্দমালা প্রথম শোনা গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। যা নিয়ে রাজ্যরাজনীতিতে প্রবল আলোলড় তৈরি হয়েছিল। এই শব্দমালা অভিষেক প্রথম ব্যবহার করেছিলেন গয় ১২ জুলাই উত্তরবঙ্গ সফরের সময়।
দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ইডি-র পক্ষ থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না মেনকা গম্ভীর।
সূত্রের খবর মঙ্গলবার সকালেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি শান্তিনিকেতনে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একদল আধিকারিক।
২০২১-এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে থেকে বারবার প্রকাশ্যে আসতে থাকে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে নিয়ে সেভাবে কোনও দিনই কোনও খবর হয়নি। ফলে সে সময় তাঁর নামে ওঠা অভিযোগের তালিকা সকলকেই অবাক করে দিয়েছিল।