নায়িকার জবাব, ‘এক দম ছোট বেলার থেকেও কলেজ বেলার পুজো বেশি ভাল ছিল। তখন শাড়ি পরা ছিল। বন্ধুদের সঙ্গে প্যান্ডেলে ঘোরা ছিল। আর ছিল চোখে চোখ রাখা।’
ধারাবাহিকে মা-মেয়ের জীবন সংগ্রামের গল্প দেখানো হয়েছিল। ঐন্দ্রিলাই রিমঝিমকে প্রথম বলেছিলেন, ‘তুমি তো নায়িকা! মায়ের চরিত্র কেন করছ?’
এ বার সৌরভ দাসের কথাতেও স্পষ্ট আশাভঙ্গের সুর। তা হলে কি ভালবাসাকে হারিয়ে জিতে গেল ঈশ্বরের আস্ফালন?
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কখনও ভাল কখনও মন্দ ঐন্দ্রিলা। তার মধ্যেও সামান্য স্বস্তি, গতকাল রাত থেকে হওয়া পরপর হৃদরোগের ধাক্কা একটু সামলেছেন তিনি। চিকিৎসকেরা তাই আশা ছাড়ছেন না।
প্রেমের দৃশ্য স্বতঃস্ফূর্ত ছিলেন ঐন্দ্রিলা? বিশেষ করে যে সিরিজে সব্যসাচী চৌধুরীও অভিনয় করেছেন। পর্দার ‘অনির্বাণ’-এর দাবি, প্রেমের দৃশ্য প্রচণ্ড সাবলীল ছিলেন তাঁর নায়িকা।
লড়ছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ধাপে ধাপে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
লড়াই! এই একটা শব্দই যেন শাশ্বত হয়ে গিয়েছে ঐন্দ্রিলার কাছে। জীবন পারাপারে বারবার তাঁকে লড়তে হয়েছে, পরীক্ষা দিতে হয়েছে। কীভাবে জীবনের লড়াইকে লড়তে হয় তার শিক্ষাও যেন প্রিয় ২ সারমেয়কে দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ কাতর আর্তিতে, ফিরে এস ঐন্দ্রিলা, তাকিয়ে দেখ আমরা তোমার পাশে!
সব্যসাচী চৌধুরীর এক আত্মীয়ের কথায়, ‘‘সে রকম কিছু হলে বাবুর ফোন আসত। এর আগে ফোন করে আমায় জানিয়েছে, ফোন না এলে বুঝে নিতে হবে, ঐন্দ্রিলার অবস্থা একই রকম আছে।’’
১০ দিন কেটে গেলেও এখনও জ্ঞান ফেরেনি ঐন্দ্রিলার। হাওড়ার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী।