অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব প্রদীপ ব্যস শুক্রবার অনেক রাতে সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি কোভিড ১৯-এর তৃতীয় তরঙ্গে সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে যে করোনার প্রথম তরঙ্গের সময়, মুম্বই ৭০৬জন আক্রান্ত থেকে ১৩৬৭ জনের সংক্রমণে পৌঁছতে ১২দিন সময় নিয়েছিল। দ্বিতীয় তরঙ্গের ক্ষেত্রে ৬৮৩জন আক্রান্ত থেকে ১৩২৫ জনে পৌঁছতে ২০দিন সময় লেগেছিল।
ওমিক্রন তৃতীয় তরঙ্গে একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাড়াবে। তবে দেশে অনাক্রম্যতা বৃদ্ধির কারণে এটি দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়ে অনেকটাই কম প্রভাব ফেলবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতেই দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ। প্রতি দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে এক থেকে দেড় লক্ষ।
বিশেষজ্ঞদের কথায় এখনও দেশের মানুষকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সামনেই শীতকাল। শীতের মরশুমে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
ভ্যাকসিনোলজিস্ট চিকিৎসক গগনদীপ কাং জানাচ্ছেন করোনার তৃতীয় তরঙ্গ সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারবে না। দ্বিতীয় তরঙ্গে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তার অর্ধেকও প্রভাব পড়বে না তৃতীয় তরঙ্গে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কথায় মহামারিকালে অক্টোবর আর নভেম্বর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ২-৩ মাস গোটা দেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
CSIR-NEER বলেছে তাদের প্রতিষ্ঠান দেশের মানুষের সেরা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় মাইক্রো ও স্মল অ্যান্ড মিডিয়ায় এন্টারপ্রাইস (MSME)কে এউ প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কয়েকটি ভৌগলিক অঞ্চল, উচ্চ পরীক্ষার ইতিবাচক জেলাগুলির পাশাপাশি দেশে সপ্তাহে সপ্তাহে পরীক্ষার ইতিবাচক হার ও করোনা আক্রান্তের অবস্থায় সম্পর্কে বিষদে তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
করোনাভাইরাসে সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও টিকা অভিযান খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর তৃতীয় তরঙ্গ আসার আগেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী।