রাতের অন্ধকারে এ যেন উঠ ছুড়ি তোর বিয়ে! রাতারাতি ধরে পাকড়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে নাবালিকাদের। ভাঙড়ের রাজাপুর গ্রামের এই নাবালিকা বিয়ের চক্রে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। অভিযোগ এই নাবালিকা বিয়ের চক্রের পিছনে রয়েছে আরাবুল ২ ঘনিষ্ট কর্মী। পিকনিক করার ছলে লোকেদের চোখে ধূলো দিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে নাবালিকাদের।
রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত জেলা মুর্শিদাবাদ কন্যাশ্রী প্রকল্পে শীর্ষ স্থান অধিকার করে রোল মডেল মুর্শিদাবাদ। কন্যাশ্রীতে চলতি অর্থবর্ষে জেলার ২ লক্ষ ১৩ হাজার ছাত্রীকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা ছিল, সেই সংখ্যা ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে।
বিয়ের তোড়জোড়ের খবর পুলিশ ও জেলা চাইল্ড লাইনের কর্মীদের কানে পৌঁছয়। তৎপর হয়ে নাবালিকার বিয়ে রুখে দেয় তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় বেশ কিছু ভুয়ো ম্যারেজ রেজিস্টার অফিস খুলে বসেছেন। এদের ফাঁদে পা দিয়ে বহু মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। আনারুল হক তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
পয়লা জুলাই মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায় তিন নাবালিকা। এরপরেই তিন জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
গঙ্গায় ডুব দিয়ে লোক খাইয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু তা মানেনি পঞ্চায়েত।
তারা নিদান দেয় তারই নাবালিকা কন্য়াকে বিবাহ করার।
কোন অপরাধে এমন প্রায়শ্চিত্তের কতা বলা হল?