সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেছে। পুরনো এমন অনেক ছবি রয়েছে যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই দলীয় বিষয় নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে একান্ত আলোচনা করতেও দেখা গেছে। যাই হোক সেসব এখন অতীত।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছে। বিজেপির বিশাল মিছিল থেকেই তেমনই আওয়াজ তুললে দলীয় নেতৃত্ব। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পাঁচ দিন পরে বিজেপি মিছিল করে কলকাতায়।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সূত্রের খবর এই অবস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রিত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অবশেষে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আট বছর আগে পিএইচডি করেছেন। এসএসসি কেলেঙ্কারিতে ইডি তাকে হেফাজতে নেওয়ার পরে, তার পিএইচডি নিয়ে নতুন অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার একদিন যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন অন্যদিকে তেমনই তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে আলোচনা হচ্ছে।
ভুবনেশ্বর এইমস (bhubaneswar aiims) থেকে চিকিৎসার পর কলকাতায় ফিরলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়ে যাওয়া হহল সিজিও কমপ্লেক্সেষ (CGO Complex) সেখানেই ১০ দিন ইডি কাস্টডিতে (ED custody)থাকবেন তিনি।
আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে রাখা হবে। ৩ অগাস্ট আদালতে পার্থ আর অর্পিতাকে আবার আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পার্থ আর অর্পিতা দুজনেরই জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ভুবনেশ্বরে নিয়ে গিয়ে অবশ্য হতাশ হতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানকার এইমস পার্থের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানিয়ে দিল, তাঁর শরীরে পুরনো কিছু সমস্যা আছে বটে, তবে তা তেমন মারাত্মক কিছু নয়।
তৃণমূল সূত্রের খবর দলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাঁর অ্যারেস্ট মেমোয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও ফোন নম্বর লেখায় যথেষ্ট বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর অ্যারেস্ট মেমোয় বলেছেন ৭০ বছররের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর একজন আত্মীয় বা বন্ধু তাঁর সঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলতে চান।