পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আজ ফের তোলা হয় আদালতে, তার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ESI হাসপাতালে। এখান থেকেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় কোর্টে। ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আজ ফের তোলা হয় আদালতে।
কেন আচমকা জুতো ছুঁড়লেন তিনি, সেই প্রশ্নের উত্তরে মহিলা বলেন এত মানুষের টাকা মেরে চাকরি মেরে ফ্ল্যাট বাড়ি কিনেছেন। আবার তাকে এসি গাড়ি করে এত খাতির করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর সোমবার সকাল থেকে ইডির আধিকারিকরা লাগাতার জেরা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁরা নাকি একই প্রশ্ন করতে থাকেন- অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস কী? ওই টাকা কার
সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত হট টপিক এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নানা ধরনের মিমের ছড়াছড়ি। বাম-বিজেপির মত বিরোধী দলগুলিও বাদ নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নতুন পুরনো সবধরনের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা রীতিমত রীতিমত উত্তেজিত নেটিজেনরাও।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরই পাল্টা আসরে নামেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন প্রথমে কেন পার্থদা এই কথা বলেননি। প্রথম যখন সুযোগ পেলেন তখন চক্রান্ত বলেননি কেন? কেন সেদিন নিজেকে নির্দোষ বললেন না? কেন প্রথমেই তিনি বললেন না টাকা আমার নয়?
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় মন্তব্য হল 'আমার কাছে কোনও টাকা নেই। আর চতুর্থ হল ''আমার নয়'। তাও তিন বার এই একই কথা উচ্চারণ করেন তিনি।
তীব্র গুজব ছড়াচ্ছে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মনে। কিশান কুমার কল্যানীকে শুক্রবার সকালে ইডি ডেকে পাঠাতেই আতঙ্ক বেড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে। জানা গিয়েছে শিলিগুড়ির বেশ কয়েকজন ব্যাবসায়ীর নামও ছড়িয়েছে ইডির কাছে।
মিঠুন বলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন না যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সমস্ত অর্থ রয়েছে। মিঠুনের সন্দেহ, উদ্ধার হওয়া টাকা অন্য কারোর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিশ্চয়ই সেই টাকার কাস্টডিয়ান ছিলেন, তার মুখ খোলা উচিত। শুধু শুধু কারাগারের হাওয়া তিনি কেন খাবেন?
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি। সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সব পদ থেকে তো বটেই, দল থেকেও বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিল্প মন্ত্রক এখনই কারও হাতে তুলে দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী৷ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা এখনও সামনে না এলেও নবান্ন সূত্রের এই খবর জানা গিয়েছে৷ সূত্রের খবর, শিল্প দফতর নিজের হাতেই রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।