বিপুল সংখ্যক মানুষ সরয়ু তীরে পৌঁছে আরতিতে অংশ নিচ্ছেন। সেখানে প্রদীপ দানের পাশাপাশি পবিত্র জলও বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন মানুষ। ভক্তদের মুখে একটাই কথা, প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান শীঘ্রই শেষ করা হোক এবং তাঁদের মূর্তি দর্শন করা হোক।
বিজেপি সূত্রের খবর, রাম মন্দির ও মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানকে ইস্যু করে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দল।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) দ্বারা আয়োজিত একটি তহবিলে অযোধ্যা রাম মন্দির ফাউন্ডেশনের জন্য অনুদান দিয়েছেন প্রায় ৩০০ জন গরিব ভিক্ষুক।
উত্তর প্রদেশের সরকার কর্তৃক জারি করা এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমগ্র অযোধ্যা জুড়ে মদ ও মাংস বিক্রি করা ‘নিষিদ্ধ’ ।
মুম্বইয়ের এই তরুণী গর্ব করে বলেছেন, রামের পুজো করার জন্য হিন্দু হওয়ার প্রয়োজন নেই না। ভালো মানুষ হলেই চলে।
অযোধ্যা রাম মন্দির নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল শ্রীরাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। এই ট্রাস্ট বলেছে, আমন্ত্রিত অতিথিদের পবিত্র প্রসাদ দেওয়া হবে।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, দলের কোনও প্রতিনিধি রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না।
২২শে জানুয়ারী অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দেশ-বিদেশের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। এই অনুষ্ঠানকে জমকালো করতে সরকার কোনো খামতি রাখতে চায় না।
প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মোদীর রোডশো-এর ব্বস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও রেল স্টেশনের উদ্বোধনের পর স্থানীয় স্টেশন লাগোয়া একটি অঞ্চলে জনসভারও আয়োজন করা হয়েছে।
রাম মন্দির নির্মাণ বিজেপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়েছে এবং দল লোকসভা নির্বাচনে এটিকে একটি বড় সাফল্য হিসাবে উপস্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনুষ্ঠানটিকে জমকালো করতে আরএসএস এবং টেম্পল ট্রাস্টের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি চলছে।