সপ্তাহের শেষে মোকার কারণে মায়ানমারের নিচু এলাকা ও বাংলাদেশের কিছু অংশ প্লাবিত হতে পারে। সেখানে আকস্মিক বন্যা আর ভূমিধসের সম্ভাবনাও প্রবল বলে জানিয়েছেন।
হাওয়া অফিসের রিপোর্ট বলছে, উত্তর থেকে দক্ষিণ, বঙ্গের উভয় পার্শ্বেই বুধবার গরম পৌঁছবে চরমে। পাশাপাশি কিছু কিছু জেলায় বৃষ্টি হবে বলেও জানানো হচ্ছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত গতিপথ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে যে কোনও মুহূর্তে এউ ঝড় মায়ানমার থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ওড়িশার মধ্যে যে কোনও উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হওয়ার পর সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও তীব্রতা সম্পর্কে পরবর্তীতে তথ্য পাওয়া যাবে। ৯ মে এর কাছাকাছি, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হওয়ার এবং একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, জলভাগে ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান যত বেশি স্থায়ী হবে, তত বেশি শক্তি বাড়াবে নিম্নচাপ। এর প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বাংলাদেশ উপকূলে।
বুধবারেও শহরজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। তাপমাত্রা গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা খানিকটা বাড়লেও নেই গরমের অস্বস্তি।
বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা সহ পূর্ব ভারতের অনেক জায়গায় মে মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে। এসব এলাকায় কয়েকদিন তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসও রয়েছে।
ঝেঁপে বৃষ্টি হওয়ার দরুন ৪০ ডিগ্রি গরমের হাত থেকে খানিকটা রেহাই পেয়েছে আমজনতা। তবে, এই রেহাই কিন্তু সত্যিই ‘সাময়িক’। আগামী মাসে যে সত্যিই খারাপ দিন আসতে চলেছে, তার সতর্কবার্তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
শনিবার সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম শহরে। ভোর থেকেই মেঘলা আকাশ, দিনভর বিক্ষীপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। বলে জানা যাচ্ছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বইবে ঝোড়ো হাওয়াও।
আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাঁকুড়ায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিচ্ছে হাওয়া অফিস। এমনিতেই শুষ্ক আবহাওয়া লাল মাটির জেলায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসহনীয় গরম। দুপুরের দিকে কার্যত শুনশান হয়ে যায় রাস্তাঘাট।