কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের প্রধানের বক্তব্য হল, মুখ্যমন্ত্রী এই ১০৫% ডিএ দেওয়ার কথাটা রাজনৈতিক কারণে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাবার উদ্দেশ্যে বাজারে ছেড়েছেন।
বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে এবার ধর্মঘটের ডাক দিলেন তাঁরা। আগামী নয় মার্চ ধর্মঘট কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে।
ডিএর দাবিতে আরও বড় আন্দোলনের পথে সরকারি কর্মীরা। আজ কালো ব্যাজ পরে কাজ সরকারি কর্মীদের।
শুক্রবার থেকেই ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরোতির ডাক দিল রাজ্যের সরকারি কর্মচারিরা। পাশাপাশি শুক্রবার বিধানসভা অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়েছে কর্মী সমাজ এই ডিএ 'ভিক্ষা দেওয়ার মতো' বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। এমনকী এই ঘোষণাকে প্রত্যাখান করার কথাও বলেছেন তাঁরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে পেন ডাউনের হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারের এই নতুন ঘোষণায় কী প্রতিক্রিয়া আন্দোলনকারীদের?
ডিএ নিয়ে মন্তব্য করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ডিএ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেও জনস্বার্থমূলক প্রকল্পের ওপর জোর দেন। আর বলে দেন সরকারের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সরকারি প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া।
গত ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী, ৪ নভেম্বরের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করতে হবে রাজ্যের অর্থসচিব এবং মুখ্যসচিবকে।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া হিসাবে উঠে এসেছে ২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের তথ্য।
পুজোর আগেই সুখখবর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য। চার শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘ্যভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মধ্যে ফারাক বেড়ে গেল অনেকটাই। অন্যদিকে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের নিজেদের প্রাপ্য ডিএ আদায়ের জন্য যেতে হচ্ছে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে বিদ্বেষ ক্রমশই বাড়ছে।