শুক্রবার দুপুরে অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যার রেশ শনিবার বিকেল পর্যন্ত রাজ্যের ওপর থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস। শক্তিশালী অতি গভীর নিম্নচাপ রূপেই সাগরদ্বীপ থেকে বালাসোরের মধ্যে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান- রবিবার ভারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের এই সাতটি জেলায়।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী মাঝারি থেকে বেশি বৃষ্টি হবে কলকাতা হাওড়া হুগলি ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া পুরুলিয়াতে। সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি বেশি হবে।
সোমবার সারাদিন আকাশ মেঘলা ও মাঝে মাঝে ঝেঁপে দু এক পশলা বৃষ্টি ছাড়া সেভাবে বৃষ্টি পায়নি কলকাতা ও শহরতলি। যদিও গরম ছিল পাল্লা দিয়ে। বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়লেও তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আলিপুর।
ভারতের আবহাওয়া দফতর অমরনাথ গুহা মন্দিরের সামনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তারজন্য স্থানীয়ভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতকেই দায়ি করেছে।
আলিপুর আবাহওয়া দফতর সূত্রের খবর শুক্রবার দিনভর কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জন্য।
স্বাভাবিকভাবে এই রাজ্যে বর্ষা ঢোকার অফিসিয়াল তারিখ হল ৬ জুন। তবে ৭-৮ জুনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে যায়। এবার কিন্তু তার অনেকটা আগেই বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জন্য কোনও সুখবর দিতে পারেনি।
মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহর কলকাতায়। হাওয়া অফিস, জানিয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গে।
রাজ্যে এর সরাসরি কোনো প্রভাব নেই ,তবে এর প্রভাবে আজ এবং কাল দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
সোমবার ভারতের আবহাওয়া দফতরের প্রবীণ বিজ্ঞনী আর কে জেনামনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বিশাখাপত্তনম ও পুরী থেকে প্রায় ৪৫০ ও ৫০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।