২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তার প্রস্তুতি। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য গত দুই বছর তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস তেমনভাবে পালন করা হয়নি।
৫ বছরের সময়কাল শেষ হচ্ছে দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। ফলে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের একটা আয়োজন চলছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন।
বিধানসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন এবার থেকে রাজ্য জুড়ে পালিত হবে খেলা হবে দিবস। ২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন ১৬ অগাস্ট থেকে পালিত হবে 'খেলা দিবস'।
২১ জুলাই-র ইতিহাসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই, তবে সেই দিন ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ২১ জুলাই ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন, কীভাবে যুক্ত ছিলেন মমতা, চলুন ফিরে দেখা যাক সেই জ্বলন্ত মর্মান্তিক দিনটাকে।
২৮ বছর আগের স্মৃতি এখনও টাটকা রায় পরিবারের কাছে। ২১ জুলাই শহিদ দিবসের দিনে স্বামীকে হারিয়ে ছিলেন স্ত্রী।বাবাকে হারিয়ে ছিল ছেলে। এখন তৃণমূল কংগ্রেসেই তাঁদের ভরসা।
এবার নাকি তৃণমূলের পাশাপাশি শহিদ দিবস পালন করতে চায় বিজেপিও। অনুষ্ঠানের রূপরেখা কী হবে তাও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সেকথা ঘোষণা করা হতে পারে।
চব্বিশের লক্ষ্যে পাখির চোখ এবার দিল্লি। সেই লক্ষ্য়েই ২১ জুলাই প্রথম পদক্ষেপ রাখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ভার্চুয়াল সমাবেশে গোটা দেশে মমতার বার্তা পৌছবে তৃণমূল।
করোনা আবহের মধ্যে এবার আর ২১ জুলাইয়ের জনসভা করা হবে না। ভার্চুয়ালি এই সভার আয়োজন করা হবে। সেখানেই বক্তব্য রাখবেন মমতা। গতবছরও তাই হয়েছিল। কিন্তু, এবার সেই ভাষণ শোনা যাবে দিল্লিতেও।
ভার্চুয়াল মাধ্যমেই তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চেও করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ চিন্তা করার কিছু নেই বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের