Farmers' Win: ফের ঐতিহাসিক জয় কৃষকদের, আর মামলার ভয় দেখাতে পারবে না বহুজাতিক সংস্থা


ফের ঐতিহাসিক জয় পেলেন কৃষকরা (Farmers)। বাতিল পেপসিকো ইন্ডিয়ার (Pepsico India), এফএল-২০২৭ (FL-2027) নামে, একটি বিশেষ জাতের আলুর পিভিপি (PVP) শংসাপত্র। 

Web Desk - ANB | Published : Dec 3, 2021 1:19 PM IST / Updated: Dec 03 2021, 06:52 PM IST

ফের ঐতিহাসিক জয় পেলেন কৃষকরা (Farmers)। শুক্রবার, 'প্রোটেকশন অফ প্ল্যান্ট ভ্যারাইটিজ অ্যান্ড ফার্মার্স রাইটস অথোরিটি' (PPVFRA) অর্থাৎ উদ্ভিদ বৈচিত্র এবং কৃষকদের অধিকার কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়ে, পেপসিকো ইন্ডিয়ার (Pepsico India), এফএল-২০২৭ (FL-2027) নামে, একটি বিশেষ জাতের আলুর (Potato) পিভিপি (PVP) শংসাপত্র প্রত্যাহার করল। কৃষি অধিকার কর্মী কবিতা কুরুগান্তির (Kavita Kuruganti) একটি আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলা হয়েছিল। এদিন, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পেপসিকোর দেওয়া 'ভুল তথ্য'-এর উপর ভিত্তি করে ওই শংসাপত্রটি মঞ্জুর করা হয়েছিল। এর ফলে ওই বিশেষ জাতের আলুটি চাষ করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না কৃষকদের। এর আগে এই আলু চাষ করে পেপসিকোর মামলার মুখে পড়েছিল দরিদ্র কৃষকরা। 

প্রোটেকশন অফ প্ল্যান্ট ভ্যারাইটিজ অ্যান্ড ফার্মার্স রাইটস অথোরিটি আরও জানিয়েছে, এই শংসাপত্র যে সুরক্ষা দেয়, পেপসিকো সংস্থা তার যোগ্য নয়। কবিতা কুরুগান্তি তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, ব্রিডার হিসাবে পেপসিকো রেজিস্ট্রারকে 'নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, নথি বা উপাদান সরবরাহ করেনি'। তাঁর দাবি মতো এই নিবন্ধনের শংসাপত্রের মঞ্জুরিটি যে জনস্বার্থের পরিপন্থি তাও মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে উদ্ভিদের বৈচিত্র্যের শংসাপত্রে পেপসিকোকে যে  ভেরিটাল আইপিআর দেওয়া হয়েছিল, কর্তৃপক্ষ তা ফিরিয়ে নেবে৷ 

আরও পড়ুন - পুজো আসছে, মাত্র ছয় দিনে ওজন কমাতে চান, বেশি করে আলু খান, অবাক না হয়ে জানুন টিপস

আরও পড়ুন - Purulia Death- জঙ্গলি আলু খেয়ে মৃত্যু, আতঙ্কে পুরুলিয়ার আদিবাসীরা

আরও পড়ুন - Cyclone Jawad: জাওয়াদ-আতঙ্ক, তড়িঘড়ি ফসল তুলতে সপরিবারে মাঠে কৃষকরা

২০১৯ সালের জুনে এই অভিযোগ দাখিল করেছিলেন কবিতা কুরুগান্তি। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, পেপসিকো ইন্ডিয়া'কে আলুর ওই বিশেষ জাতের জন্য আইপিআর, বিধান মেনে দেওয়া হয়নি এবং এটি জনস্বার্থ বিরোধী। পেপসিকোর ওই রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিটেকটির মেয়াদ আর মাত্র দুই মাস বাকি ছিল। তবে, তারপর ছিল ২০৩১ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সার্টিফিকেটটি পুনর্নবীকরণ করতে পারত পেপসিকো ইন্ডিয়া। তবে এদিনের পর তার আর অবকাশ রইল না। 

কৃষি আইন নিয়ে যারা চর্চা করেন, তারা এদিনের রায়কে 'গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক' বলছেন। এই রায়টি সমস্ত বীজ এবং এফএন্ডবি কর্পোরেশন এবং অন্যান্য নিবন্ধনকারীদের জন্য একটি নজির স্থাপন করেছে। ভারতে কৃষকদের যে অধিকার এবং স্বাধীনতা রয়েছে, তা ভবিষ্যতে আর কেউ লঙ্ঘন করবে না বলেই আশা করছেন তারা। 

কবিতা কুরুগান্তি জানিয়েছেন, পেপসিকো ইন্ডিয়া সংস্থা ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে গুজরাটের (Gujarat) অসহায় এবং দরিদ্র কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে এই শংসাপত্রটি ব্যবহার করেছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, কৃষকরা কী বীজ রোপণ করতে পারবে সেই বিষয়ে আইনে কোনও জটিতা নেই। নিবন্ধিত জাতের বীজ-সহ যে কোনও বীজই তারা বুনতে পারে। একমাত্র শর্ত হল তারা জেনেশুনে ব্র্যান্ডেড ফ্যাশনে সংরক্ষিত জাতের বীজ বিক্রি করতে পারবে না। না জেনে তা করলে ভারতীয় কৃষকরা 'নির্দোষ আইন লঙ্ঘন'এর দাবিও জানাতে পারেন। এতটা স্পষ্টততা থাকা সত্ত্বেও, পেপসিকো ইন্ডিয়া কৃষকদের হয়রানি করতে পিছপা হয়নি। পরপর দুই বছর তাদের ক্ষতির জন্য কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।

Share this article
click me!