মাঠ দেখে বোঝার উপায় নেই করোনা আবহে বা লকডাউনের পর শুরু হয়েছে ফুটবল লিগ। দর্শকে ঠাসা গ্যালারি। পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে দর্শকদের সেই চেনা উন্মাদনা। প্রিয় তারকাদের জন্য কাধে কাধ মিলিয়ে গলা ফাটানো। বা গেল না কোনও কিছুই। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বালাই ছিল না কারও মধ্যে। বিতর্ক তৈরি করে এমনই আবহে ম্যাচ চলল ভিয়েতনাম ফুটবল লিগের। কোনও রকম বিধি-নিষেধ ছাড়াই চলল দেশের জাতীয় ফুটবল লিগ। দর্শকরাও কোনও নিয়ম বা আতঙ্ক ছাড়াই উপভোগ করল গোটা ম্যাচ। ভিয়েতনাম ফুটবল লিগের এই ছবি প্রক্যাশ্যে আসার পরই সমালোচনার ঝড় বইছে ফুটবল বিশ্বে।
আরও পড়ুনঃকেরিয়ারের শেষ স্বপ্নপূরণ নিয়ে সংশয়ে টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ
করোনা মহামারির জন্য গত মার্চে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভিয়েতনামের ফুটবল লিগ। লকডাউনের পর শুক্রবারই শুরু হয় ভি লিগ-১। প্রথম দিনেই
নামদিন স্টেডিয়ামের ৩০ হাজার দর্শকাসন কার্যত কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। লিগ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের অনুমতিতেই দর্শকদের মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। দর্শকদের স্পষ্ট বলতে শোনা যায় যে, ভাইরাস সংক্রমণের ভয় থাকলে তাঁরা মাঠেই আসতেন না। কিন্তু যেখানে গোটা বিশ্বজুড়ে ফুটবল ফিরলেও, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিচ্ছে না কেউ। দর্শকশূন্য মাঠে হচ্ছে বা হবে বুন্দেশলিগা, লা লিগা, ইপিএলের মত বিশ্বের জনপ্রিয় লিগগুলির খেলা। সেখান ভিয়েতনাম লিগের খেলায় দর্শকে ঠাসা গ্যালারি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃলকডাউনে ঘরে বসে বিরাট কোহলির আয় ৩কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা
আরও পড়ুনঃআচমকা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল বিরাট-অনুষ্কার ডিভোর্স,আসল কাহিনীটা কী
অন্যান্য দেশের তুলনায় ভিয়েতনামে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ খুবই কম। এখনও পর্যন্ত সে দেশে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩২৮ জন। কোভিড ১৯-এর শিকার হয়ে মৃত্য হয়নি একজনেরও। যেভাবে বিপুল হারে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করেছে ভিয়েতনাম সরকার তা বাকি দেশগুলির প্রশংসা কুড়িয়েছে। সেকারণেই করোনা ভাইরাসের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে সবার আগে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো পুনরায় সুদৃঢ় করার কাজে নেমে পড়েছে ভিয়েতনাম। কিন্তু অর্থনীতির হাল পেরাতে এরম ঝুঁকি নিয়ে ফুটবল ম্যাচ করানো নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।