কোনও জায়গা নেই, শপথ নেওয়ার আগেই 'মহিলা' বিতর্কে জড়ালেন কেজরিওয়াল

রবিবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

তার আগেই বিতর্কে জড়ালেন তিনি।

দিল্লি জয়ে তাঁদের অন্যতম শক্তি ছিল মহিলারা।

কিন্তু, নয়া মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন না একজনও আপ মহিলা বিধায়ক।

 

amartya lahiri | Published : Feb 16, 2020 4:32 AM IST / Updated: Feb 16 2020, 10:27 AM IST

রবিবার তৃতীয়বারের মতো দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে যাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু, মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসার আগেই বিতর্কে জড়ালেন তিনি তথা তাঁর দল আম আদমি পার্টি। দিল্লি ভোটে মহিলাদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন নারীকেন্দ্রিক সমস্য়ার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চেয়েছিল আপ। মহিলারাও দুইহাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন আপ-কে। কিন্তু, কেজরিওয়াল যে মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছেন তাতে জায়গা হচ্ছে না একজন মহিলারও।   

কেজরিওয়াল আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিদায়ী মন্ত্রিসভার থেকে নতুন মন্ত্রিসভায় বিশেষ পরিবর্তন হবে না। শনিবার রাতে মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য সদস্যদের আলাদা করে বাড়িতে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আপ-প্রধান। সেই ভোজসভা তাকল একেবারেই নারীবিহীন। এমনকী অতিশি মারলেনা, আপ-এর নতুন শিক্ষা নীতির পিছনে যাঁর সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে, তিনিও জায়গা পাননি মন্ত্রিসভায়। অথচ, তাঁকেই শিক্ষামন্ত্রি করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল।

আরও পড়ুন - মাস্টারমশাই থেকে বাস মার্শাল, 'দিল্লি নির্মাণ'-এর ৫০ কারিগরকে নিয়ে শপথে কেজরি

আরও পড়ুন - কেজরির ফের দিল্লি জয়ে বাড়ল সদস্য সংখ্যা, এক দিনে আপে যোগ ১০ লক্ষের

মন্ত্রিসভায় মহিলারা ব্রাত্য রইলেন, কিন্তু আপের এই বিশাল জয়ের পিছনে কিন্তু তাঁদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। ৭০ আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছে আপ। তারমধ্যে মহিলা প্রার্থী জিতেছেন ৮টি আসনে। শুধু তাই নয়, লোকনীতি-সিএসডিএস সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দিল্লির মহিলা ভোচারদের প্রায় ৬০ শতাংশই মত দিয়েছেন আপ-এর পক্ষে। কিন্তু, ভোটের পর মন্ত্রীসভায় মহিলাদেরই গুরুত্ব দিল না আম আদমি পার্টি।

আরও পড়ুন - কেজরির শপথে থাকবেন কেবল দিল্লিবাসী, মমতার উপস্থিতি নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

আরও পড়ুন - দিল্লির জয়ে উজ্জীবিত বাংলা, সদস্য বাড়াতে কলকাতায় মিছিল আপ-এর

এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই বৈষম্য একেবারেই ভালোভাবে দেখছে না সোশ্যাল মিডিয়া। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, মহিলাদের নিরাপত্তার জোরদার করতে যে নীতি তৈরি করা হবে, সেই নীতি কে করবে? একজন মহিলা পক্ষেই কোন কোন দিক থেকে নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হতে পারে তা বোঝা সবচেয়ে ভালোভাবে সম্ভব। শুধু পুরুষরাই রাজত্ব করবে এটা আপ দলের পক্ষে ভালো বিজ্ঞাপন নয় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। কেউ কেউ সরাসরি প্রশ্ন করেছেন, মন্ত্রিসভায় মহিলা প্রতিনিধি নেই কেন?

Share this article
click me!