আফগানিস্তানের কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলা। তালিবানরা জানিয়েছে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
আশঙ্কা সত্যি করেই কাবুল বিমান বিমান বন্দর সংলগ্ন এলাকা কেঁপে উঠল বিস্ফোরণে। বৃহস্পতিবার মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছেন আফগানিস্তানের কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে একটি বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে বিমান বন্দরের ভিতরে মার্কিন সেনা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে বলেও জানান হয়েছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরি জানিয়েছেন, বলেছেন এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ রয়েছে তা নিশ্চিত করেছেন। তবে এই বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে তিনি কোনও তথ্য দিতে পারেননি।
মার্কিন সেনা সূত্রে বলা হয়েছে এই হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে। হামলায় হাত রয়েছে ISIS জঙ্গি সংগঠনের । তেমনই মনে করছে মার্কিন সেনা বাহিনী। প্রচুর মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতের তালিকায় রয়েছে শিশু ও মহিলারাও। দেশ ছেড়ে পালাতে বহু মানুষই কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে জড়ো হয়েছিল প্রচুর মানুষ। তাদেরকে লক্ষ্য করেই হামলা চালান হয়ে বলে অনুমান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় কাবুল বিমান বন্দরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদ দাতারা স্পষ্ট করেছেন আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়েছে কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে। আফগানিস্তানের টোলো নিউজ জানিয়েছেন শিশুসহ ১৫ জনের নিহত হয়েছে বিস্ফোরণে। যদিও তালিবানদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে শিশুসহ ১৩ জনের নিহত হয়েছে আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফোরণে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তিন জন সেনা কর্মী আহত হয়েছে। বিমান বন্দরের পাশাপাশি দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় বিমান বন্দর সংলগ্ন একটি হোটেলে। এই ঘটনার পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিট্রেন তাদের দেশের নাগরিকদের কাবুল বিমান বন্দরে যেতে নিষেধ করেছে।
কাবুল বিমান বন্দরে জঙ্গি হানা, সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পরামর্শ ব্রিটেনের
আপনার চিন্তাধারা আপনার আঁকার মতই সুন্দর, তরুণ শিল্পিকে চিঠিতে লিখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
পথ আটকে তালিবানরা, শতাধিক আফগান হিন্দু ও শিখ তীর্থযাত্রীদের ভারতে আসতে বাধা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ ন্যাটোর বেশ কয়েকটি দেশের হাতে কাবুল বিমান বন্দর সংলগ্ন এলাকায় জঙ্গি হানা হবে এজাতীয় তথ্য ছিল। গোয়েন্দারা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিল। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছিল, জরুরি ভিত্তিতে বিমান ওঠানামা ও বিদেশি-আফগান নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওযার কাজে বাধা তৈরি করতেই হামলা চালান হবে। তালিবানদের ভয়ে আফগানিস্তান ত্যাগ করার এখনও এখনও বিমান বন্দরের বাইরে হাজার হাজার আফগানবাসী জড়ো হয়েছেন। কোনও মতে কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রবেশই তাদের একটা মাত্র লক্ষ্য।