আমফান মোকাবিলায় সব ভাবে প্রস্তুত বাংলা, কাজে লাগছে বুলবুলের অভিজ্ঞতাও

  •  ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়েই  এনডিআরএফ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম প্রস্তুত 
  •  প্রশাসনের তরফে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও মেডিক্যাল টিমে রাখা হবে 
  • সাইক্লোন শেল্টার ও স্কুলগুলিকে লোকজন রাখার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে 
  •  উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে মৎস্য দপ্তর 

Ritam Talukder | Published : May 18, 2020 4:23 AM IST


ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়েই প্রস্তুত বাংলা।  সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জেলায়। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়েই  এনডিআরএফ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম প্রস্তুত। প্রশাসনের তরফে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও মেডিক্যাল টিমে রাখা হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টার ও স্কুলগুলিকে লোকজন রাখার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশপাশি উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে মৎস্য দপ্তর।  কাজে লাগছে গত বছরের ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অভিজ্ঞতাও। 

আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে আজ থেকেই কলকাতায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া, জারি হল হলুদ সতর্কতা

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা হয়েছে। মুখ্যসচিব বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাজ্যে এই মুহূর্তে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাওয়া এমনিতেই নিষিদ্ধ। তা-ও নজর রাখা হচ্ছে। যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ফ্লাড সেন্টারের পাশাপাশি স্কুল, কলেজেও মানুষজনকে রাখার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব ঠিকঠাক ভাবে মানা যায়।' দুর্যোগের মধ্যে যাতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে না যায়, তার জন্য আগেভাগেই সতর্ক রাজ্য।

উল্লেখ্য়, গত বছর ফণীর পরোক্ষ প্রভাব পড়লেও নভেম্বরে সরাসরি আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। সেই ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবনে আছড়ে পড়ে বাংলাদেশে চলে যাওয়ায় উপকূল লাগোয়া জেলাগুলিতেই বেশি প্রভাব পড়ে। আপাতত যা পূর্বাভাস, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। তার  সমুদ্রও উত্তাল হলে, জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড় ঢুকলে নদী বা সমুদ্র বাঁধের উপর চাপ তৈরি হবে। তাই নিচু এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মাইকে প্রচার করে সাবধান করা হচ্ছে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও কলকাতার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কাজ সামলানোর মধ্যেও যাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতা মানা হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন, রাজ্য়ে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬, করোনায় আক্রান্ত বেড়ে ১০১

 ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে  প্রস্তুতি শুরু করেছে সুন্দরবন প্রশাসনও। দুর্যোগ আসার আগে সমুদ্র ও নদী উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের আনা ও এলাকাভিত্তিক তাদের সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কী ভাবে, কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে। সাইক্লোন শেল্টারের পাশাপাশি প্রাইমারি ও হাইস্কুলগুলিকে লোকজন রাখার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রশাসনের তরফে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও মেডিক্যাল টিমের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। মজুত রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণও।  সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, রায়দিঘি, নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমা এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিং করে প্রচার চালাচ্ছে মৎস্য দপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় মহকুমা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতেও। আমফান মোকাবিলায় এনডিআরএফ টিমকে তৈরি রাখার পাশাপাশি তৈরি রাখা হচ্ছে রাজ্যের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমকেও। 


 

 

কোভিড হাসপাতালে স্বাভাবিক মৃত্য়ুতেও পরিবার চাইলে সৎকার করবে কলকাতা পৌরসভা, জানালেন ফিরহাদ

করোনা আক্রান্ত প্রাণ হারালেন এবার রাজ্যের এক আইনজীবী, এদিকে আইসোলেশনে তাঁর স্ত্রী

কোভিড পজিটিভ হয়ে মৃত্য়ু প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ হরিশঙ্কর বাসুদেবনের

 বেহালা হাসপাতালের প্রসুতির শরীরে মিলল এবার করোনার জীবাণু, কেপিসি-র ৩ রোগীর রিপোর্টও পজিটিভ

রোগী ফেলে পালাতে পারল না অ্যাম্বুল্যান্স, পিপিই পরা স্বাস্থ্য়কর্মীদেরকে তীব্র প্রতিবাদ নাকতলাবাসীর

Share this article
click me!