জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা বাড়াতে আন্টার্কটিকা জলে সাঁতারের জন্য লুইস পুগ পরিচিত। তবে ২৩ শে জানুয়ারী তিনি একটি হিমবাহের হ্রদে প্রথম সাঁতার কেটেছিলেন। বরফ গলে যাওয়ার কারণে হিমবাহের উপরে একটি হ্রদ তৈরি হয়েছে। সেই হ্রদেই হয়েছিল এই সাঁতার। পঞ্চাশ বছর বয়সী লুইস পুগ একটি সাঁতারের টুপি এবং গগলস পড়ে অ্যান্টার্কটিকার বরফ জলে সাঁতার কেটেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, আন্টার্কটিকায় বরফের চাদরের নিচে সাঁতার কাটতে গিয়ে তিনি বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। যদিও তিনি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত করা সবচেয়ে সুন্দর সাঁতার এটাই।
আরও পড়ুন- ৪০ হাজার টাকার হোর্ডিং লাগিয়ে ভ্যালেনটাইন্স ডে-এর আগে সঙ্গীর সন্ধান, হতবাক দুনিয়া
পুগ জানিয়েছেন, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে এক গবেষণার দ্বারা আতঙ্কিত হয়েছিলেন তিনি। জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্টস-এ ইস্ট অ্যান্টার্কটিকার বরফের শীতে ৬৫ হাজারেরও বেশি সুপারগ্লাসিয়াল হ্রদ আবিষ্কার হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পুগ জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইতিমধ্যে দ্রুত গতিতে চলেছে। যার ফলে হিমবাহ গলতে শুরু করে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি তাত্ক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নিতে চান। এই কারণেই তিনি সাঁতারের জন্য এমন এক স্থান বেছে নিয়েছিলেন, যাকে তিনি "জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম নিদর্শন" বলে অভিহিত করা যায়।
আরও পড়ুন- 'দ্য সিম্পসনস', ২৭ বছর আগেই করোনা-র ইঙ্গিত দিয়েছিল এই কার্টুন ধারাবাহিক
এই সাঁতারের মাধ্যমে পুগ সারা বিশ্বে এই বার্তা দিতে চেয়েছেন, "আমাদের হাতে সময় খুব কম। ভয়ানক এক পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে চলেছে গোটা বিশ্ব। আমাদের সকলের এই মুহূর্ত থেকেই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে গোটা পৃথিবী।" পুগ সম্প্রতি এই সঙ্কেত বার্তা ক্রেমলিনে জানিয়েছেন। যেখানে তিনি রাশিয়ান সরকারকে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকা রক্ষা ও একটি সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল স্থাপনের জন্য অনুরোধ করেছেন। পুগ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে একমত হওয়ার জন্য ২৫ টি দেশের সহমতের প্রয়োজন। এই বিষয়ে রাশিয়া ও চীন সদস্য ব্যতীত বাকি সমস্ত দেশ স্বাক্ষর করেছে। পুগ জানিয়েছেন, সারা বিশ্বের রক্ষার জন্য রাশিয়া এই চুক্তিতে বিবেচনা করে স্বাক্ষর করবে বলে আশাবাদী তিনি।