দুধে থাকে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ও প্রোটিন থাকে। অন্যদিকে মধুতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি ফাংগাল প্রপারটি। দুধের পুষ্টিগুণ তো আমাদের সকলেরই জানা। একই রকমভাবে মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ নামক দুই ধরনের সুগার। অবশ্য সুক্রোজ ও মালটোজও খুব অল্প পরিমাণে আছে। মধু নির্ভেজাল খাদ্য। এর শর্করার ঘনত্ব এত বেশি যে, এর মধ্যে কোনো জীবাণু ১ ঘণ্টার বেশি সময় বাঁচতে পারে না। এতে ভিটামিন এ, বি, সি প্রচুর পরিমাণ বিদ্যমান। অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানও আছে। যেমন- এনজাইম বা উৎসেচক, খনিজ পদার্থ যেমন পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ এছাড়াও প্রোটিন।
আরও পড়ুন- দাম্পত্য কলহ এড়াতে চান, বিয়ের আগে এই প্রশ্নগুলি করুন সঙ্গীকে
দুধ ও মধুর উপকারিতা পৃথক ভাবে সকলেরই মোটামুটি জানা। মধু খেতে ভাল লাগলেও, দুধ অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু এর গুণাগুণ কখনও অস্বীকার করা যায় না। তাই দুইয়ের মিশ্রণে তৈরি পানীয় যে এর উপকারও দ্বিগুণ হবে বলাই যায়। দেখে নেওয়া যাক দুধের সঙ্গে মধু খেলে কী কী উপকার পাবেন-
হজমের সমস্যা বা বদহজম দূর করতে খেতে পারেন দুধ মধুর পাণীয়। হজমের সমস্যা থেকে পেটে ব্যথা, গ্যাস, কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের মত সমস্যাগুলি দূর হবে।
আরও পড়ুন- কাজের মাঝে চোখকে আরাম দিন, জানুন কীভাবে চোখকে ভাল রাখবেন
দুধ ও মধু দুটিই ত্বকের জন্য উপকারী এ কথা আমরা সবাই জানি। দুধ ও মধুর প্যাক মুখে মাখলেও উপকার পাওয়া যায়। তাই খালি পেটে এক কাপ দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালশিয়াম থাকে। এই উপাদান হাড় ভাল রাখে। আর দুধের এই গুণকেই আরও বাড়িয়ে তোলে মধু। তাই হাড়ের জন্য় এই যুগলবন্দি বেশ কার্যকর।
সকাল বেলা এক কাপ দুধে মধু মিশিয়ে খেলে অবশ্যই শক্তির জোগান পাবেন। দুধে প্রোটিন থাকে আর মধুতে কার্বহাইড্রেট এবং মেটাবলিজম ঠিক রাখে। ফলে এনার্জি বাড়াতে অবশ্যই খান এক কাপ দুধ ও মধুর তৈরি এই পাণীয়।
আরও পড়ুন- পরিচিত এই ফলের গুনাগুণ অনেক, ফল থেকে বাকল সবই ঔষধিগুণ সম্পন্ন
মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ফাংগাল প্রপারটি। যা সর্দি কাশি হওয়া থেকে রক্ষা করে। ফলে সর্দি কাশি এড়াতেও এই টোটকা ব্যবহার করতেই পারেন।
যাঁরা অনিদ্রায় ভোগেন,তাঁরা অবশ্যই খান দুধ-মধুর এই পানীয়। ইনসোমনিয়ার জন্য এমনিতেই রোগীকে দুধ ও মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ফলে এই মিশ্রণ যে আরও ভাল ফল দেবে তা বলাই যায়।