মকর সংক্রান্তির প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে গ্রাম বাংলা জুড়ে। নতুন ধানে ভরে গেছে গোলা। প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে চলছে চালকোটা। সেই চালের গুড়ি দিয়ে তৈরি হবে নবান্ন। তার সঙ্গে পায়েস পিঠেপুলি তো রয়েইছে। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সেই দিন। মকর সংক্রান্তি। তবে শুধু বাংলা নয়, ভারতের নানা প্রান্তেই পালিত হয় এই নবান্ন উৎসব। পৌষের শেষ মাঘের শুরু। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, দেশের সর্বত্র পালিত হয় এই পৌষ সংক্রান্তি। তবে একেক জায়গায় একেক নামে এই দিনটি পালিত হয়। রাজ্যে কোন জায়গায় কী নামে এই মকর সংক্রান্তি পালিত হয়, জেনে নিন।
আরও পড়ুন-চটজলদি রান্নার জন্য মাথায় রাখুন এই ছোট্ট বিষয়গুলি...
অসম
প্রতিবেশী রাজ্য় অসম। অসমে এই মকর সংক্রান্তি 'ভোগালি বিহু' উৎসব নামে পরিচিত। 'ভোগালি' শব্দের অর্থ হল ভোজন। এই সময় অসমেও নতুন ধান ওঠে। আর এই উৎসবের খাওয়া-দাওয়া একটা বড় ব্যাপার। তার সঙ্গে মিল রেখেই এই নামকরণ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো এখানেও নতুন চালের পিঠে তৈরি করা হয়।
গুজরাট
গুজরাটে এই মকর সংক্রান্তি 'উত্তরায়ণ' নামে পরিচিত। ঘুড়ি ওড়ানোই এই উৎসবের অন্যতম রীতি। এছাড়া এদিন সূর্যদেবের আরাধনা করা হয়। প্রত্যেকেই ঘুড়িকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে সূর্যদেবতার কাছে নিজেদের মনের বার্তা পৌঁছে দেয়।
বিহার ও ঝাড়খন্ড
এই দুই রাজ্যে মূলত খিচুড়ি খেয়ে উৎসব পালন করা হয়। নতুন চাল ওনতুন সব্জি দিয়ে এই খিচুড়ি রান্না করা হয়। তার সঙ্গে নতুন গুড়ের মিষ্টি এই উৎসবকে আরও জমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন-র দাম কমল সোনার, বিয়ের মরশুমে মুখে হাসি মধ্যবিত্তের...
তামিলনাডু
তামিলনাডুতে মকর সংক্রান্তি পালিত হয় 'পোঙ্গল' নামে। এই উৎসবে সূর্যদেবের আরাধনা করা হয়। একটানা চারদিন ধরে চলে এই উৎসব। এছাড়া নানা সুস্বাদু পদও রান্না করা হয় এই উৎসবে। নৈবেদ্য হিসেবে সমস্ত রান্না সূর্যদেবকে দেওয়া হয়।
দিল্লি ও হরিয়ানা
দিল্লি ও হরিয়ানার মকর সংক্রান্তির নাম 'সিধা'। এদিন দেশি ঘি দিয়ে মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। এছাড়া হালুয়া, ক্ষীর খাওয়ার রীতি রয়েছে। এদিন ভাইরা বোনেদের বাড়ি যায়, এই উৎসবের দিন নতুন জামাকাপড় দেওয়ারও রীতি রয়েছে। এছাড়া বিবাহিত মহিলারা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের উপহার দেয়। একে 'মানানা' বলে। উৎসবের দিন লোকসংগীত গাওয়ারও চল রয়েছে।
পাঞ্জাব
পাঞ্জাবে মকর সংক্রান্তির নাম 'মাঘি'। ভোরবেলা উঠে স্নান করে দ্বীপ জ্বালিয়ে ভগবানের আরাধনা করা হয়। শিখদের কাছে এই উৎসহ ঐতিহাসিক উৎসব হিসেবে পালিত হয়।