ত্বক, চুল বা হাত বা পায়ের যত্নের পাশাপাশি প্রয়োজন হাতের ও পায়ের নখের যত্নের। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মত নখের যত্ন নেওয়াও অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় অতিরিক্ত জল বা সাবান বা স্কিন প্রোডাক্টের ক্ষতিকর ক্যামিকেলের ব্যবহারে আমাদের হাতের নখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। হাতের সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হচ্ছে নখ, তবে অনেক সময় দেখা যায় নখ ভেঙ্গে যাচ্ছে বা ঠিকমত বড় হচ্ছেনা এবং দেখতে ফ্যাকাসে লাগছে এই ধরনের সমস্যায় দেখা দেয়। তাই ম্যানিকিউর বা পেডিকিউর এর মাধ্যমে নখের যত্ন নিতে পার্লারের স্মরণাপন্ন হতে হয়।
আরও পড়ুন- কেন প্রতিদিন শরীরের জন্য ১ গ্লাস এই জুস প্রয়োজন, কারণ জানলে অবাক হবেন
যে স্থান থেকে নখের উৎপত্তি তাকে নেইল প্লেট বলা হয়। নেইল প্লেট পর কয়েক মিলিমিটার বৃ্দ্ধি পেয়ে একটি অংশ আঙুলের ডগার উপরিভাগে দৃশ্যমান হয়। চিকিৎসকদের মতে, কোনও ব্যক্তির ফ্যাকাশে নখ মানে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের ফলে আপনার নখে অ্যানিমিয়া বা শুষ্কতার সমস্যা হয়েছে। নীলচে নখ মানে আপনার অপর্যাপ্ত সারকুলেশন চলছে এবং অক্সিজেনের অভাব রয়েছে। যদি আপনার নখ পাতলা ও ভঙ্গুর হয় তবে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিনের অভাব রয়েছে। তাই সুন্দর ও সঠিক নখের গঠন পেতে মেনে চলুন এই পদ্ধতিগুলি।
আরও পড়ুন- লিভারের সমস্যা থেকে হচ্ছে মুখের কালো দাগ, দূর করুন সহজ উপায়ে
নখ কাটার সময় সব সময় ক্লিপার ব্যবহার করুন। এতে নখ সুন্দর ভাবে ও সঠিক মাপে কাটতে পারবেন। নখ কাটার পর করতে হবে ফাইলিং। যদি সুন্দর শেপে নখ কাটাও হয় আর ফাইলিং ঠিক মত না হয়ে তবে নখ দেখতে খুব খারাপ লাগবে। তাই যত্ন এবং সময় নিয়ে নখের ফাইলিং করুন। এরপর ঈষদউষ্ণু জলে ভালো করে আঙ্গুল ঘষে পরিষ্কার করে নিন। এর ফলে আঙ্গুলে থাকা ডেড সেল বেরিয়ে যাবে। হাত মুছে নিয়ে প্রয়োজনে নখের কোনগুলি আরও একবার ফাইল দিয়ে ঘষে নিন। হাত শুকিয়ে গেলে পছন্দের রং এর নেইল পলিশ বেছে পড়ে নিন। এক সপ্তাহ পর রিমুভার দিয়ে নেইল পলিশ তুলে ফেলুন। এক সপ্তাহের বেশি কখনই নেলপলিশ রেখে দেবেন না। আবারও নখ পরিস্কার করে নিয়ে নেইল পলিশ ব্যবহার করুন।