রাত পোহালেই কলকাতা ডার্বি। শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মুখোমুখি হচ্ছে পিছিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল। অতীতে পিছিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল সবসময় ভয়ঙ্কর ছিল। সেই সুদিন ফেরার আশায় লাল-হলুদ জনতা।
এবারের ডুরান্ড কাপে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনা দলের বিরুদ্ধে শেষদিকে ২ গোল খেয়ে ড্র করেছে ইস্টবেঙ্গল। শনিবার সামলাতে হবে মোহনবাগান সুপার জায়াান্টের শক্তিশালী আক্রমণকে। জেসন কামিংস, আর্মান্দো সাদিকু, লিস্টন কোলাসোদের ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন লালচুংনুঙ্গা, জর্ডন এলসে? আশাবাদী ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে লাল-হলুদ কোচ বলেন, 'আমরা জানি মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন। ওদের দল শক্তিশালী। ওরা কয়েকদিন পরেই এএফসি কাপের ম্যাচ খেলবে। আমরা এখনও পুরো দল পাইনি। আমি কলকাতায় আসার পর ২ সপ্তাহ অনুশীলন করেছি। মন্দারের (রাও দেশাই) মতো ফুটবলাররা ৪ সপ্তাহ ধরে অনুশীলন করছে। আমরা লড়াই করার চেষ্টা করব। আমাদের ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে হবে এবং সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগাতে হবে।'
কলকাতায় পা রাখার পর থেকেই ডার্বির কথা শুনে আসছেন লাল-হলুদ কোচ। সমর্থকরা ডার্বি জয়ের আবদার জানাচ্ছেন। এই ম্যাচটি যে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা, সেটা বুঝে গিয়েছেন কুয়াদ্রাত। তিনি বলেছেন, 'এই ম্যাচ যে বিশেষ, সেটা আমি জানি। এই শহরের ঐতিহ্য এই ম্যাচ। শহরের সবাই এই ম্যাচে আনন্দ করবেন। এর আগের ডার্বিগুলিতে কী হয়েছে সেটা ভুলে আমাদের খেলতে হবে। আমরা সম্মানরক্ষার জন্য লড়াই করব। ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে।'
কুয়াদ্রাত আরও বলেছেন, 'আমাদের ফুটবলাররা ৪ সপ্তাহ অনুশীলন করেছে। ওদের যাতে ক্লান্তি না হয়, সেই চেষ্টা করতে হবে আমাদের।'
প্রথমবার কলকাতা ডার্বি খেলতে নামছেন মন্দার। এই ম্যাচ প্রসঙ্গে লাল-হলুদের ডিফেন্ডার বলেছেন, 'আমাদের সবার কাছেই এটা বড় ম্যাচ। আমাদের দলের অনেক খেলোয়াড়ই নতুন। আমরা এই ম্যাচের জন্য ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। যখন ডুরান্ড কাপের সূচি প্রকাশিত হয়, তখনই আমরা জানতাম, দ্বিতীয় ম্যাচই কলকাতা ডার্বি। এই ম্যাচের চাপ সামাল দিতে হবে আমাদের। খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা আছে। ওরা বড় জায়গায় খেলেছে। আমাদের সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।'
গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভা এখনও কলকাতায় এসে পৌঁছননি। শনিবার সকালে তিনি কলকাতায় আসছেন। ফলে তাঁর পক্ষে বড় ম্যাচ খেলা সম্ভব হবে না। ফলে বাকিদের উপর নির্ভর করতে হবে কুয়াদ্রাতকে। রক্ষণের উপর জোর দিতে হবে লাল-হলুদকে। পাশাপাশি আক্রমণও করতে হবে। কারণ, পরের রাউন্ডে যেতে হলে মোহনবাগানকে হারানো ছাড়া উপায় নেই।
আরও পড়ুন-
মিলে গিয়েছিল শিবদাস ভাদুড়ির কথা, মোহনবাগানের দ্বিতীয় আইএফএ শিল্ড জয়ের বছরেই আসে স্বাধীনতা
কলকাতা লিগের ম্যাচে এফসিআই-এর বিরুদ্ধে ৫-০ জয়, ডার্বির জন্য তৈরি মোহনবাগান
অভিনব উদ্বোধন! ডুরান্ড কাপের ট্রফি নিয়ে ৬৫ তলা থেকে ঝাঁপ দুই সেনাকর্তার