দুর্গাপুজো (Durga Puja) থেকে শুরু হয়েছে উৎসব (Festival)। এবার পালা ইতু পুজোর। অগ্রহায়ণ মাসের প্রতি রবিবার পালিত হয় ইতু পুজো (Itu Puja) ।
পাণ্ডবেশ্বর গ্রামে পালদের পুজোতে তিনটি কার্তিক - বড় কার্তিক, মেজো কার্তিক এবং ছোটো কার্তিক এর মূর্তি পূজিত হয়। ঐতিহাসিকরা এই তিন কার্তিকের পুজো দেড়শো বছরেরও অধিক প্রাচীন বলে মনে করেন।
কার্তিক বৈদিক দেবতা নন, কার্তিক হলেন পৌরাণিক দেবতা।ভারতে উনি প্রাচীন দেবতা হিসেবে পূজিত হন এবং প্রাচীন ভারতের প্রায় সর্বত্র ই কার্তিক পূজার প্রচলন ছিল।কার্তিক পূর্ণিমার উৎসবটি শুরু হয় ‘প্রবোধিনী একাদশীর’ দিন থেকে
কার্তিক হিন্দু সম্প্রদায়ের যুদ্ধের দেবতা হিসেবে পরিচিত। পৌরাণিক দেবতা হিসেবেই পরিচিত দেবতা কার্তিক। অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীর মতো কার্তিকও একাধিক নামে অভিহিত। দক্ষিণ ভারতে কার্তিকের পুজো অধিক জনপ্রিয়।
রবিবার মহাদশমী, জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে মাতল চন্দনগর। দশমীর পুজো শেষে মা কে বরণ করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে, শুরু হয়েছে প্রতিমা ভাসান, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৮ টি ঘাট ভাসানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
জগদ্ধাত্রী পুজোয় সময় পরিবারের সব সদস্য নিজেদের পৈতৃক বাড়িত চলে আসেন ।
কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে রয়েছে এক ইতিহাস। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র মা জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করেন। কুমারী মেয়ে রূপী জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ পান রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
কৃষ্ণনগরে মা জলেশ্বরীর পুজো হয় মালোপাড়ায় (Malopara)। এখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীর দিন ধুনো পোড়া হয়। এদিন এখানে যার মানত পূরণ হয় তিনি গায়ে ভিজে কাপড় জড়িয়ে সরা নিয়ে বসেন মায়ের সামনে। সরার মধ্যে আগুন জ্বালানো হয়।
কাগ্রাম জুড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে ১১টি পারিবারিক পুজো ও ১২টি পুজো সর্বজনীন। সর্বজনীন বিভিন্ন পুজো কমিটির বাজেট এবার করোনা আবহে কমিয়ে আনা হয়েছে।
জগদ্ধাত্রী পূজার নিয়মটি একটু স্বতন্ত্র। দুটি প্রথায় এই পুজা হয়ে থাকে। অনেকে সপ্তমী থেকে নবমী দুর্গাপূজার ধাঁচে পুজা করে থাকেন। আবার অনেকে নবমীর দিনই তিন বার পূজার আয়োজন করে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পুজা সম্পন্ন করেন।