হাসপাতাল সূত্রের খবর চিকিৎসকরা মনে করছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিধায়ক মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় মুকুল রায় উন্নতির দিতে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রী-সহ দলীয় সহকর্মীরা তাঁর খোঁজ খবর নিয়েছেন।
মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তবে ২০১৭ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে তিনি প্রথম বিধায়ক হন। যদিও পরবর্তীকালে
নিউরো জাতীয় সমস্যায় ভুগছেন মুকুল রায়। বেশ কিছু বছর ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন তিনি। যার অর্থ ভুলে যাওয়ার রোগে ভুগছেন প্রবীণ নেতা।
দীর্ঘ দিন তৃণমূলে থাকার পরে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। আর তারপরই ম্যাজিক। বঙ্গে বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে শক্ত হাতে হাল ধরেন নেতা।
মুকুল রায় বেশ কিছুক্ষণ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন। অধীর মুকুর রায়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
অর্জুন ঘনিষ্টদের কথায় মুকুল রায় অর্জুন সিংকে দেখেই কাছে টেনে নেন। তাঁকে বলেন, 'এসে গিয়েছিস অর্জুন!'
কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় শাসকদলের শীর্ষ নেতামন্ত্রীদের সঙ্গেও মোলাকাত করার চেষ্টা করেছিলেন মুকুল। সেই অভীপ্সা পূর্ণ না হলেও আজ, ২১ জুলাই, ধর্মতলায় আয়োজিত তৃণমূলের শহিদ দিবসের জনসভায় ফের নয়া খেল দেখালেন তিনি।
নিয়ম অনুযায়ী মানসিকভাবে সুস্থ না হলে কোনও ব্যক্তি বিধায়ক থাকতে পারেন না। মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও বিধায়ক পদ খোয়ানোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
মুকুল রায়ের জন্য দলের ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করলেন তিনি। পাশাপাশি মানুষের এই মুহূর্তে কার কথা বিশ্বাস করা উচিত সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।