Narendra Modi News -

পঞ্জাব বিজেপির সভাপতি অশ্বনি শর্মা বলেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ষড়যন্ত্র করে গোটা কান্ড ঘটিয়েছেন। তাই তাঁর কমিটি তৈরি করার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

কীভাবে নিরাপত্তা লঙ্ঘন করা হয় এবং কীভাবে তিনি ভাতিন্ডা বিমানবন্দরে ফিরে আসেন, তার ব্যাখ্যা দেন মোদী। সব শুনে মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি বলে সূত্রের খবর।

সুরজিৎ সিং ফুল-এর বয়ানে অবশ্য বিজেপি এবং তাদের সহযোগীদলগুলি এখন আরও বেশি ক্ষিপ্ত। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও পাল্টা হুমকি দিয়ে রেখেছেন। রাহুল গান্ধীর মতো কংগ্রেস নেতারা বিজেপি শাসিত রাজ্যে গেলে এর ফল ভালো করে টের পাবেন বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

সব মিলিয়ে যে মুখ পুড়িয়েছে পঞ্জাব সরকার, তা মানছেন সবাই। এখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করে যে বিশেষ লাভ হবে না, তাও বোঝা যাচ্ছে।

পঞ্জাব সরকারকে বিঁধলেন একাধিক বিজেপি নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা পর্যন্ত প্রত্যেকে সরব হয়েছেন মোদীর পঞ্জাব সফরে ঘিরে বিশৃঙ্খলায়।

কেন্দ্রের দাবি পঞ্জাব সরকার প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। চান্নি সরকারের অপরিণামদর্শিতা ও পরিকল্পনার অভাবের জন্যই প্রধানমন্ত্রী নিজের সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন।

হুসাইনিওয়ালায় জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে, যখন প্রধানমন্ত্রীর কনভয় একটি ফ্লাইওভারে পৌঁছয়, তখন দেখা যায় যে কিছু বিক্ষোভকারী রাস্তাটি অবরোধ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফিরোজপুরে পিজিআই স্যাটেলাইট কেন্দ্র, কাপুরথালা ও হোশিয়ারপুরে দুটি নতুন মেডিকেল কলেজ উদ্বোধন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন দেশের উত্তরপূর্ব, যেখানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করেছিল, একে ভারতের স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার বলে ঘোষণা করেছিল। সেই উত্তর পূর্ব এখন নতুন ভারতের স্বপ্ন পূরণের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠছে।

মঙ্গলবার আগরতলার বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধনে থাকছেন তিনি, সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, আর এবার সেই জমায়েতেরই কড়া সমালোচনা করল তৃণমূল কংগ্রেস, সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া ভাষায় স্পষ্ট জানানো হল, মানুষের সুরক্ষাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই পরিস্থিতিতে মোদীর সফর কতটা যুক্তি যুক্ত!