মূলত ভোট কেন্দ্রে বহিরাগতরা ভোট বানচালের চেষ্টা করছে দেখে বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয় বলে জানিয়েছেন এসএফআই নেত্রী। ঘটনায় আহত হয়েছেন দীপ্সিতা ধর।
পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে তদন্তের আর্জি জানালেন তিনি। এই মর্মে শনিবারই অমিত শাহকে চিঠি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
নির্বাচন কমিশনের কাজ ব্যবস্থাপনা দেখা। সেই মত অভিযোগ পেয়েই জানানো হয়েছে এসপি এবং জেলাশাসককে। নিজের তাগিদে পুলিশ তদন্ত করবে।'
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে ঢুকে বিজেপির বেশ কয়েকজন সদস্য সমর্থক বিক্ষোভ শুরু করেন। আচমকা নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। নির্বাচন কমিশনের ঘরের দরজাতেও পৌঁছে যান একজন বিজেপি কর্মী।
বুথের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল এবং বিজেপি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুথের মধ্যেই শূন্যে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রইল ভোটের দিনও। শুক্রবার রাত থেকে এপর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটে মৃত্যু হল ১১ জনের।
হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় অশান্তির খবর হয়েছে বলে দাবি তাঁর এবং সেইসমস্ত জায়গায় তৃণমূলের কর্মীদের ওপরেই টার্গেট করে আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে একযোগে বিজেপি, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন কুণাল ঘোষ।
টুইটারে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকর ও চুক্তিবদ্ধ খুনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা রাজ্য জুড়ে তাঁর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করছেন।”
কোথাও চলছে দেদার ছাপ্পা ভোট, কোথাও ১ ঘণ্টাতেই ভোটগ্রহণ শেষের পরিস্থিতি, কোথাও লুঠ হয়ে গিয়েছে ব্যালট, কোথাও আবার ভোটকেন্দ্রের বাইরেই উদ্ধার হল তাজা বোমা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে ভোট বয়কট করলেন এলাকার মানুষ। হিংসায় উত্তপ্ত পঞ্চায়েত ভোট।
দিকে দিকে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা হওয়ার ঘটনাকে মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে রাজ্যের শাসকদল।