আগামী তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যেই সেই দল বাংলায় পৌঁছাবে বলে জানা গিয়েছে। একাধিক বিষয়ে খোঁজ নেবে তারা। সংক্রমণের হার, টিকাকরণ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, বিধিনিষেধ সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা এই ধরনের একাধিক বিষয়ে খোঁজ নেবে বিশেষজ্ঞদের ওই প্রতিনিধি দলটি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যা অনুযায়ী দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৮৩ জন আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ রোগী সম্পূর্ণ উপসর্গবিধীন ছিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভিড় এড়িয়ে চলার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে। বাড়ির বাইরে বার হলেও যাতে সকলে কোভিড ১৯এর উপযুক্ত আচরণবিধি মেনে চলেন তার ওপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশের ওমিক্রণ (Omicron) সংক্রমণের ঘটনা ৩০০ ছাপিয়ে গেল। তারপরই রাজ্যগুলিকে ফের কোভিড-১৯ (COVID-19) চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে সক্রিয় করার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলল কেন্দ্র।
সূত্রের খবর এই বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা দেশের ওমিক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উর্ধ্বতন সরকারী কর্তারা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসের প্রফেসর ট্রিট গ্রিনহালঘ বলেন মাস্কে কোন জাতীয় ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয় তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। তাই ফ্যাব্রিকের ওপর নির্ভর করে মাস্ক কতটা ভালো বা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
ওমিক্রনে আক্রান্ত নাইজেরিয়া থেকে আসা যাত্রী শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওমিক্রন পজেটিভ আসায়, তাঁকে ফের ভর্তি করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির জন্য গত বছর বন্ধ ছিল এই মেলা। এ বছরও সেই একই সিদ্ধান্তে অনড় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবারও মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশজুড়ে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আসা কোনও যাত্রীর কলকাতা বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। আর যদি তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাহলে তাঁকে আর গন্তব্যে যেতে দেওয়া হবে না।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে রাজ্যে সরকারকে সক্রিয় থাকতে হবে। সমস্ত প্রবণতা ও বৃদ্ধি বিশ্লেষণ করতে বলেছে। ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে কমপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণ যোগ্য।