এক মাসের মধ্যে নয়া রেকর্ড তৈরি করল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের যৌথ বাহিনী। জানা গিয়েছে কাশ্মীরি নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় যুক্ত সব জঙ্গিকেই খতম করতে সফল হয়েছে সেনার যৌথবাহিনী।
শনিবার সন্ধ্য দুই জঙ্গি সংঘগঠন জারি করা যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, 'আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য ও আমাদের জনগণের অধিকার দমন করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছি।'
হামলার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেন ৪৬ অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার ও বাকি সেনা জওয়ানদের এই আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বিহার থেকে রুজি রুটির সন্ধানে জম্মু ও কাশ্মীরে আসা দুই শ্রমিকের।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে মহম্মদ আশরাফকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে বাসিন্দা সে। ভারতীয় নাগরিকের জাল পরিচয় পত্র নিয়ে বেশ কয়েক দিন লক্ষ্মীনগরের রমেশ পার্ক এলাকায় বসবাস করছিল।
মহালয়ার পর থেকেই প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো। এদিকে উৎসবের মরশুমেও জঙ্গি হামলার আতঙ্ক থেকে গিয়েছে। ১২ থেকে ১৫ অক্টোবর রাজ্যজুড়ে দশেরা এবং দুর্গাপুজো পালিত হবে।
পুলিশ জানিয়েছে শনিবার প্রথম জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটেছে, অনন্তনাগের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ওপর। সিআরপিএফ এর একটি বাঙ্কার লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা।
উরি সেনা ব্যারাকে পাক জঙ্গি হামলার বদলা নিতেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল ভারতের হাতিয়ার। গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ৩টি জঙ্গি ক্যাম্প।
৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচল ভারত। জম্মু-কাশ্মীরে গ্রেফতার হল ৪ জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি।
কুলগামের মালিপুরা কানাজিগুডা এলাকার কাছেই বিএসএফের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। তার পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও।